স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানীগুলো যেখানে ক্রেতাদের দেওয়া অগ্রীম অর্থ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে সেখানে কিছুটা ভিন্নধর্মী পন্থাবলম্বনে ক্রেতাদের অধিকার, অগ্রীম অর্থের চিন্তা ও দায়িত্ববোধের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিজস্ব বিনিয়োগে ইতিমধ্যে দুটো রেডি এ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে আবাসন খাতের ব্যবসায় নাম লিখিয়েছে নগরীর রাঙাপরি ডেভেলপার্স এন্ড প্রপার্টিজ প্রতিষ্ঠান। দেশের সুনামধন্য মেহেদী রাঙাপরি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এটি।
রাজশাহীতে রেডা আয়োজিত ৪র্থ আবাসন মেলায় বিশাল পরিসরের প্যাভিলিয়নটিও তৈরি করা হয়েছে নান্দনিক এ্যাপার্টমেন্টের মতো করেই বলে জানান রাঙাপরি মেহেদি খ্যাত প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধর ও চেয়ারম্যান মাসুম সরকার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল সরকার।
শনিবার মেলার প্রাঙ্গন ঘুড়ে দেখা গেছে, রাঙাপরির আকর্ষণীয় প্যাভিলিয়ন ঘিরে দর্শনার্থী ও সম্ভাব্য ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়টি। নগরীর অভিজাত এলাকা নামে খ্যাত উপশহরে ‘মান্নাত’ ও ভদ্রাস্থ পদ্মা আবাসিক এলাকায় ‘আপন আঙ্গিনা’ নামের নান্দনিক ডিজাইনের আকর্ষণীয় এ্যাপার্টমেন্ট দুটো ইতিমধ্যেই পরিপূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করে মাথা উচুঁ করে জানান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সক্ষমতা। এছাড়াও, আরো দুটো প্রজেক্ট চলমান রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উপশহরস্থ ‘চৌধুরী স্কাই লঞ্জ’ ও ‘ফরচুনা’ নামের দুটো বহুতল ভবন। মধ্যম ও বড় পরিসরের ফ্ল্যাট, নান্দনিক ডিজাইন, নগরীর প্রাইম লোকেশনে ভবন, উচ্চ মানসম্পন্ন ব্রান্ডেড নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার, রুফটপ গার্ডেন ও বারবিকিউ সুবিধা ছাড়াও কিডস্ জোন ও বসবাসকারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য ইতিমধ্যেই রাঙাপরি ডেভেলপার্স এন্ড প্রপারটিজ প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করেছে ক্রেতা ও ভবিষ্যত ক্রেতাদের কাছে। রাজশাহী শহরের গন্ডি পেরিয়ে ঢাকা ও চট্রগ্রামে অদূর ভবিষ্যতে নির্মাণ করা হবে নান্দনিক ও আকর্ষণীয় এ্যাপার্টমেন্ট বলে জানান চেয়ারম্যান মাসুম সরকার।
রাঙাপরির প্যাভিলিয়নে আসা ঢাকাস্থ ‘আইডিএলসি’ ফাইনান্স লিমিটেডের ম্যানেজার সারোয়ার পারভেজ সুজন, নগরীর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ওয়াদুজ্জামান ও রাসিকের জোন ৬ এর সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর মাজেদা বেগমসহ অন্যরাও প্রতিষ্ঠানটির রেডি ও চলমান এ্যাপার্টমেন্টগুলো দেখে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলেও জানান দর্শনার্থীরা।
‘ফাস্ট টাইম ইন রাজশাহী রেডি এ্যাপার্টমেন্ট সেলার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙাপরি ডেভেলপারস এন্ড প্রপারটিজ নামক প্রতিষ্ঠানটি তাদের যাত্রা শুরু করে মাত্র কয়েক বছর পূর্বে। গেলবারের মেলাতের মতো এবারের মেলাতেও নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। নান্দনিক দুটো রেডি এ্যাপার্টমেন্ট ছাড়াও নগরীর উপশহর এলাকার বরেন্দ্র অফিসের সামনে ১০ কাঠার বিশাল এলাকাজুড়ে নির্মাণ হবে ‘চৌধুরী স্কাই লঞ্জ’ নামের দশতলা বিশিষ্ট চোঁখ ধাঁধানো এ্যাপার্টমেন্ট। পশ্চিমমুখি ভবনটির সম্মুখভাগে রয়েছে প্রায় ষাট ফিটের রাস্তা। ১৭২৫, ১৭৪৪ ও ২২৫০ স্কয়ার ফিটের বিশালকার ও খোলামেলা ফ্ল্যাটের ‘এ’ টাইপে রয়েছে চারটি বেড রুম, স্ট্যাডি রুম, চারিিট বারান্দা ও তিনটি টয়লেটসহ একটি ডাইনিং স্পেসসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক সুবিধা।
নগরীর অত্যাধুনিক ও অভিজাত এলাকানামে খ্যাত পদ্মা আবাসিক এলাকার দুই নম্বর রোডে পাঁচ কাঠা জমির উপর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ‘আপন আঙ্গিনা’ এ্যাপার্টমেন্টটি ইতিমধ্যেই মাথা উচুঁ করে জানান দিচ্ছে নিজেদের সয়ংসম্পর্ণতা ও আধুনিকতার বিষয়টি। দক্ষিণ-পূর্বমূখি এ্যাপার্টমেন্টটির সামনে রয়েছে ত্রিশ ফিট প্রশস্ত রাস্তা। উচ্চ মূল্যের নির্মাণ উপকরণ আর চমৎকার আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের বিষয়টি জানান দিচ্ছে নান্দনিক আর আভিজাত্যের বিষয়টি। ছয়তলা বিশিষ্ট এ্যাপার্টমেন্টটিতে রয়েছে ১৪৭৫, ১৫৭৫ ও ২৯৩৪ স্কয়ার ফিটের মতো সুপরিসরের মোট নয়টি ফ্ল্যাট। ভবনটির বেজমেন্টে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিন্যাস্ত সুবিধাসহ অবিচ্ছেদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক লিফটের ব্যবস্থা ছাড়াও রাঙাপরির অন্যান্য এ্যাপার্টমেন্টের মতো এখানেও রয়েছে সুপেয় পানির চমৎকার ব্যবস্থা। এছাড়াও আছে চিত্র বিনোদনের জন্য রুফটপ গার্ডেন, বারবিকিউ পার্টিজোন ও কিডস্ জোনের ব্যবস্থাও।
নিজেদের নির্মাণকৃত ও নির্মাণাধীন এ্যাপার্টমেন্ট সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কবির পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, সম্মানিত ক্রেতা ও বসবাসকারিরা যেনো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা আর অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা পান সেবিষয়টি মাথায় রেখে নান্দনিক আর আভিজাত্য ডিজাইন সমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে রাঙাপরির প্রতিটি ত্র্যাপার্টমেন্ট। তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে থেকে যেনো উন্নত বিশে^র ফ্ল্যাটগুলোর সকল সুযোগ সুবিধা পান সেবিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চায়।
নগরীর প্রাইম লোকেশন বলে খ্যাত উপশহর হাউজিং স্টেট এলাকার তিন নম্বর সেক্টরে পাঁচ কাঠা জমিতে দক্ষিণমুখি নান্দনিক ডিজাইনের ৩২০০ স্কয়ার ফিটের মতো বিশালাকার পরিসরের ফ্ল্যাট সমৃদ্ধ ছয় তলার এ্যাপার্টমেন্টটি পরিপূর্ণভাবে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। নগরীর অন্যান্য স্থানের অনেক এ্যাপার্টমেন্ট যেখানে মধ্যম ও ছোট পরিসরে নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে রাঙাপরি ডেভলপারস এন্ড প্রপারটিজ রক্রতা ও বসবাসকারিদের সাবলীলতা ও আরাম আয়েসের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পাঁচ কাঠার উপর মাত্র পাঁচটি ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে মান্নাত নামক লাক্সারিয়াজ এ্যাপার্টমেন্টটি। দক্ষিণমুখি এ্যাপার্টমেন্টটিতে রয়েছে মাস্টার বেড, চিলড্রেন বেড ও আলাদাভাবে তৈরি করা হয়েছে অতিথিদের জন্য আলাদা বেড রুম। চারটি বেড রুম, পাঁচটি বাথ ও চারটি প্রশস্ত বারান্দার সমন্বয়ে নির্মাণ করা মান্নাত এ্যাপার্টমেন্টটির নান্দনিকতা আর ছিমছাম পরিবেশের জন্য ক্রেতাদের কাছে অধিক গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাসুম সরকার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কবির। অন্যান্য এ্যাপার্টমেন্টের মতো এখানেও রয়েছে সকল প্রকার অত্যাধুনিক সুবিধা।
প্রতিটি এ্যাপার্টমেন্টেই রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর, ওয়াটার পাম্প, ১৬ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন দুটো অত্যাধুনিক লিফট, ইন্টারকম সিস্টেম, আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়েছে নিরাপদ গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা, আরো রয়েছে পানি সংরক্ষণের জন্য রিজার্ভ ট্যাঙ্কির ব্যবস্থা। সাইক্লোন নিরোধ ও ৭.৫ রিক্টার স্কেলের ভুমিকম্প ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিএনবিসি’র কোড অনুযায়ী আরসিসি ফ্রেমের অবকাঠামোগত নির্মাণ ব্যবস্থা। ক্রেতা ও বসবাসকারিদের মনোরঞ্জন বা এন্টারটেইনমেন্ট এর ব্যবস্থার কথাটি মাথায় রেখে ভবনের টপ ফ্লোরে রুফটপ গার্ডেন ও বারবিকিউ এর মতো সময়োপযোগি ব্যবস্থা ছাড়াও বাচ্চাদের জন্য থাকবে কিডস্ জোন, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সিকিউরিটি ক্যামেরার সুবিধা ছাড়াও আরো রয়েছে অত্যাধুনিক সকল সুবিধাদি।
আরবিসি/২১ মার্চ/ রোজি