আরবিসি ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেপুর আরএনটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আল আমীন খানকে প্রকাশ্যে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের মারধরের ঘটনার অবশেষে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমান ও সাবেক সাংসদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে হামলাকারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও হামলার শিকার প্রধানশিক্ষক আল আমীন খান এক পর্যায়ে ‘করমর্দন’ করে ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনাটির নিষ্পত্তি করেন। শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দীর্ঘ এক সভা শেষে সমস্যার নিষ্পত্তি হয়।
স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুলের সভাপতিত্বে এই মীমাংসার ঘটনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস, ইউএনও একরামুল ছিদ্দিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, প্রধানশিক্ষক আল আমীন খানসহ স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সভাটি পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম।
সভা শেষে এম এ হালিম বলেন, বর্তমান ও সাবেক সাংসদসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন ও শিক্ষক সমাজের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে উভয়কে সকলের সামনে ‘করমর্দন’ করিয়ে দুঃখজনক ঘটনাটির একটি সুষ্ঠু মীমাংসা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা কেউ ঘটালে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, উপস্থিত শিক্ষক নেতৃবৃন্দও সভার সিদ্ধান্তে খুব খুশি হয়েছেন। আশা করি, এটি নিয়ে আর কোনো কথা হবে না।
এ বিষয়ে লাঞ্ছিত প্রধানশিক্ষক আল আমীন খানের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
তবে নবীনগরের বাসিন্দা এবং চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম তুহিন বলেন, এই নিষ্পত্তিটি আমাদেরকে খুবই লজ্জিত করেছে। হামলাকারীকে অবশ্যই আইনের আওতায় দেয়া দরকার ছিল। একজন প্রধানশিক্ষককে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার এমন নিষ্পত্তি কোনভাবেই কাম্য ছিল না।
এ বিষয়ে সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, এমপির ডিও দেয়ার পরও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নাম জমা দিতে দেরি করায় গত ১৬ মার্চ উপজেলা পরিষদ গেইটে দিনে দুপুরে প্রধানশিক্ষককে মারধর করেন ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক।
আরবিসি/২১ মার্চ/ রোজি