• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

আজ বিশ্ব সুখ দিবস

Reporter Name / ১৭৮ Time View
Update : শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : মানুষ সুখ প্রত্যাশী। সবাই সুখী হতে চায়। পৃথিবীতে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে সুখী হতে চায় না। বিশ্ব সুখ দিবস আজ।

২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ২০ মার্চ বিশ্ব সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধিবেশনে জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা দিবসটিকে স্বীকৃতি দেন।

দিবসটি পালন সংক্রান্ত বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয়, সুখের অনুসন্ধান একটি মৌলিক মানবিক লক্ষ্য। মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য সুখে থাকা। ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে দিবসটি পালন করা হবে।

প্রস্তাবে জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রকে শিক্ষা ও জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডসহ যথাযথ রীতিতে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের অনেক দেশেই দিবসটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন হয়।

জাতিসংঘের উপদেষ্টা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অর্থনীতিবিদদের প্রতিনিধি জেম এলিয়েন দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা। তবে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস প্রচলনের প্রচারটি শুরু হয় মূলত ভুটানের হাত ধরে। তারা জাতিসংঘের কাছে বছরের একটি দিন সুখ দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানায়। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ পালনের এই সিদ্ধান্ত।

অনেকেই ভাবেন- অর্থকড়ি, শিক্ষা-দীক্ষা, বিবাহ, সন্তান-সন্ততি, পরিবার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি মানুষকে সুখী করতে পারে। এসব প্রাপ্তি মানুষকে সাময়িকভাবে কিছুটা সুখ দিতে পারলেও প্রকৃত প্রস্তাবে স্থায়ী সুখ প্রাপ্তির জন্য এসব অর্জন বড় ভূমিকা পালন করে না বলে সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী বা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, সুখ বৈষয়িক বা জাগতিক কোনো ব্যাপার নয়। সুখ বহুলাংশে মনস্তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক ব্যাপার।

মিশিগানের হোপ কলেজের সাইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ডেভিড মায়ার বলেন, জেনেটিক বা বংশানুগতিসম্বন্ধীয় তত্ত্বের ভিত্তিতে যে যাই বলুন না কেন, সুখ অনেকাংশেই মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি অনুভূতি। এটি অনেকটা মানুষের কোলেস্টেরল লেভেলের মতো, যা জেনেটিক্যালি প্রভাবান্বিত, আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষের আচার-আচরণ বা লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

সুখের বিপরীত শব্দ হলো অসুখ। তাই যে সুখী নয়, সে সুস্থও নয়। অসুখ হতে পারে শারীরিক অথবা মানসিক। শারীরিক অসুস্থতায় ভুগলেও মানুষের জীবনে সুখ থাকে না। তবুও ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে শারীরিক অসুস্থতা বহুলাংশে সারানো যায়। কিন্তু মানুষ যদি মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়, তখন জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়।

বর্তমান বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বহু দেশে এর ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

অবশ্য জগতে বাস করতে গেলে জাগতিক অর্জন সুখ-শান্তি আনয়নে একদম কোনো ভূমিকা পালন করে না- এ কথাটিও ঠিক নয়। সাম্প্রতিককালের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেছেন- সব সুখের মূলে রয়েছে অর্থ। অর্থ সব সময় সুখ দিতে পারে না সত্যি, কিন্তু একজন লোক যখন অন্য সবার চেয়ে বেশি উপার্জন করেন, তখন তিনি ঠিকই নিজেকে সুখী মনে করেন। ভিন্ন মতাবলম্বীরা বলেন- টাকা দীর্ঘ সময় সুখ এনে দিতে পারে না। তবে সাময়িকভাবে মানুষকে তৃপ্ত করে।

উইকিপিডিয়ায় দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে- সুখ একটি মানবিক অনুভূতি। সুখ মনের একটি অবস্থা বা অনুভূতি যা ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সঠিকভাবে সুখ পরিমাপ করা অত্যন্ত কঠিন।

 

আজকের এই দিনে বিশ্ব এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। মানুষের এখন সুখ দুঃখ নিয়ে ভাবার কোনো অবকাশ নেই। একটাই ভাবনা—করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির পথ কী?

আরবিসি/২০ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category