আরবিসি ডেস্ক : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে প্রার্থী-সমর্থকরা প্রচারের সময় পাচ্ছেন ১৬ দিন। এক্ষেত্রে আগামী ২৫ মার্চ থেকে প্রচার শুরু হয়ে শেষ হবে ৯ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টায়।
ইউপি নির্বাচনের আইন অনুযায়ী প্রতীক নিয়ে প্রার্থিদের প্রচারে যেতে হবে। তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হবে আগামী ২৫ মার্চ।
এছাড়া আইন অনুযায়ী প্রচার বন্ধ করতে হবে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল সকাল ৮টায়। অর্থাৎ প্রচার বন্ধ করতে হবে আগামী ৯ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টায়।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ বিষয়ে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রচারের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা পাঠিয়েছি। তারা স্থানীয়ভাবে প্রার্থিদের বিষয়টি অবহিত করবেন।
প্রচারে কিছু বাধা-নিষেধ আরোপ করে সম্প্রতি পরিপত্রও জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে প্রার্থিদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার চালানো যাবে না। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে আগামী ২৫ মার্চ। এক্ষেত্রে ওইদিন থেকেই প্রার্থিরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে যেতে পারবেন।
প্রচারের ক্ষেত্রে পথসভা ও ঘরোয়া সভা ছাড়া যেকোনো প্রকার শোভাযাত্রা বা মিছিল-মশাল মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পথসভা বা ঘরোয়া সভা করতে হলেও স্থান ও সময় উল্লেখ করে পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা আগে অবহিত করতে হবে। আবার জনগণের চলাচলে অসুবিধা হয় এমন কোনো স্থানে পথসভা বা পথসভার জন্য মঞ্চ তৈরি করা যাবে না।
অন্যদিকে প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারের জন্য সরকারি সার্কিট হাউজ, রেস্ট হাউজ বা ডাকবাংলো ব্যবহার করতে বা অবস্থান করতে পারবেন না।
প্রার্থী তার সাদা-কালো পোস্টার বা লিফলেটে নিজের ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারো ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে দলীয় প্রার্থী হলে কেবল দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই মিছিলে নেতৃত্বদান বা প্রার্থনারত অবস্থার ছবি ব্যবহার করা যাবে না। পোস্টার, লিফলেট দেয়াল বা যানবাহনে লাগানো যাবে না। ঝুলিয়ে প্রচার চালানো যাবে। কোনো ক্রমেই প্লাস্টিক লেমিনেটেড পোস্টার, ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। প্রতীকের আকার হতে হবে তিন মিটারের মধ্যে। প্রার্থীরা নির্বাচনী পথসভা বা প্রচারের কাজে কেবল একটি মাইক বা উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার মোটরযান ব্যবহার করে মিছিল বা শোডাউন করে প্রচারণা চালানো যাবে না। ধর্মীয় উপসনালয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প হবে তিনটি। সদস্য পদের প্রার্থীরা একটির বেশি ক্যাম্প করতে পারবেন না। ক্যাম্পে টিভি, ভিসিআর, ভিসিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। বন্ধ রাখতে হবে দেয়াল লিখনও। তোরণ নির্মাণ, ঘের, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন এবং আলোকসজ্জা করাও নিষেধ।
এসব নিষেধাজ্ঞার কোনোটি না মানলে ১০ হাজার টাকা জরিমানার করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়। এছাড়া নির্বাচনী অপরাধ প্রমাণ হলে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পরও প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রাখে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ১১ এপ্রিল দেশের ৩৭১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ইউপিতে পরবর্তীতে কয়েক ধাপে ভোট নেবে ইসি।
এদিন ১৩টি পৌরসভাতেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের প্রার্থিরাও প্রচারের সময় পাচ্ছেন আগামী ২৫ মার্চ প্রতীক পাওয়ার পর থেকে ৯ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।
আরবিসি/১৯ মার্চ/ রোজি