চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত নয় দিনে সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার (অপারেশন) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে সরকার পেঁয়াজের ওপর শতকরা ৫% শুল্ক আরোপ করার পর জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে এ বন্দর দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। কিন্তু সরকার আবারও শতকরা ৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% শুল্ক আরোপ করার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। চলতি মার্চ মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি আবারও বন্ধ হয়। তবে ৪ মার্চ থেকে পুনরায় সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। রোববার পর্যন্ত ভারত থেকে ২৯১টি ট্রাকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রায় ৬ হাজার ৫’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে বলে কাস্টমস ও পানামা সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম বাজারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান। এদিকে এক পেঁয়াজ আমদানিকারক দুরুল হাসনাত বাবুল জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে কিছুটা দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে এভাবে পেঁয়াজ আমদানি অব্যহত থাকলে রমজান মাসের আগেই পেঁয়াজের দাম আরো কমে যাবে বাজারে।
অন্যদিকে, সোনামসজিদ সহকারী কমিশনার কাস্টমস মমিনুল ইসলাম জানান, সোনামসজিদ বন্দরে আমদানিকৃত পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য দ্রুত ছাড়করণের লক্ষে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেনো পণ্য ছাড়ের ক্ষেত্রে কোন হয়রানি না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিকভাবে রাজস্ব কর্মকর্তারা তদারকি অব্যহত রেখেছেন। পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্য পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খালাসের জন্য অতিরিক্ত শ্রমিক দেয়া হয়েছে। এই বন্দরে পণ্য ছাড়ের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দর সোনামসজিদ বন্দর সব ধরনের পণ্য আমদানি অব্যহত রেখেছেন। দেশের পেঁয়াজ চাষী ও ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেবে সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেননি। ফলে গেল বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে কোনো আমদানি অর্ডার না থাকায় ভারত থেকে পেয়াঁজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
আরবিসি/১৫ মার্চ/ রোজি