স্টাফ রিপোর্টার: দেশের করোনা পরিস্থিতি আবারও বিপদজনক পর্যায়ে যেতে শুরু করেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি। শারীরিক দূরত্ব না মেনেই সাধারণ মানুষের চলাফেরা চলছে। শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। সারা দেশের মতোই রাজশাহীর চিত্র একই। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনের দিনে দেশ আরও বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রাজশাহীতে কেউই যেন মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহী অঞ্চলেও কয়েকদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমনের হার। সর্বশেষ, রাজশাহী বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন নতুন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছেন। শনিবার নমুনা পরীক্ষায় তারা শনাক্ত হন। রোববার বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত মাসের দিকে রাজশাহী অঞ্চলে করোনা শনাক্ত এক সংখ্যার ঘরে নেমে এসেছিল।
শনিবার বিভাগের রাজশাহীতে আটজন, নাটোরে তিনজন, বগুড়ায় তিনজন এবং সিরাজগঞ্জে পাঁচজন নতুন রোগি শনাক্ত হয়েছেন। এ দিন বিভাগের সাতজন করোনা রোগি সুস্থও হয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার আবারও জোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু এসব পরামর্শ মানছেন না সাধারণ মানুষ।
নগরীর উপশহর এলাকার তৌফিক হাসান মিলন। একটি তার কোম্পানিতে চাকুরি করেন। তিনি বলেন, কোথাও স্বাস্থবিধি মানার বালাই নেই। অনেকের মধ্যে কেমন জানি গা ছাড়া ভাব। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে।
এদিকে শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ টিবি সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও স্বাস্থবিধি না মানার প্রবোনতা নিয়ে তিনি বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনের দিনে দেশ আরও বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গেল দুই মাস আমরা স্বাস্তিতে ছিলাম, তাই আমরা এখন কোনও কিছু মানছি না। যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানি সামনের দিকে আমরা আরও বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছি।
নতুন করে যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই তরুণ আর বেশিভাগেরই আইসিইউ লাগছে বলেও জানান তিনি।
চলমান করোনা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হওয়ায় আবারও কঠোর স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রশাসনসহ সিভিল সার্জন অফিসগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সারা দেশে আইসিইউগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। আজ বিকেলে সিভিল সার্জনরদের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে নতুন নির্দেশনার বিষয়টি তোলা হবে।
ডিজি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি জোরদার করতে এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরবিসি/১৪ মার্চ/ রোজি