স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীতে নির্মাণাধীন একাধিক ফোরলেন সড়কের উদ্বোধন ও চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। শনিবার রাজশাহী সফরে এসে তিনি দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাসিকের সড়ক উদ্বোধন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাজশাহীতে পৌছেই মন্ত্রী নগলীর কাদিরগঞ্জে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন। এরপর পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
দুপুর পৌঁনে ১ টার দিকে তিনি নগরীর বারোরাস্তার মোড়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১৮৯ কোটি ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফোরলেন সড়কের উদ্বোধন করেন। রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাসিক কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এছাড়া ১২৬ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে উপশহর থেকে নগর ভবন, মালোপাড়া মোড় হয়ে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক, নগর ভবন থেকে মহিলা কলেজের সামনে হয়ে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে রাণীবাজার পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এছাড়া পদ্মাপাড়ে দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ ও শাহ মখদুম মাজার পরিদর্শন করেন।এরপর হযরত শাহ মখদুম এর মাজার জিয়ারত করেন। কয়ের দারা এলাকায় ড্রেনের পাশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সড়ক ও সপুরা মঠ পুকুর পরিদর্শন করেন তিনি। এছাড়া নগরীর সোনাদীঘি মোড়ে নির্মাণাধীণ সিটি সেন্টার পরিদর্শন করে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
পরিদর্শন শেষে রাজশাহীর অবকাঠামো উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীর অবকাঠামো উন্নয়নে ও জনকল্যাণে যত কাজ করা দরকার, সবই করছেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী নগরীর যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে আগামীতে এ নগরী হবে দেশের অনন্য নগরী।
বিকেলে নগরীর টি-বাঁধে হয়ে স্পিডবোটে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রিভারভিউ সিটি এলাকা পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যা ৭টায় নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম অবহিতকরণ ও নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সেখানে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
আরবিসি/১৩ মার্চ/ রোজি