স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী পুলিশের আশ্রয়ে থাকা শফিরন বেওয়া (৯৫) নামের এক বৃদ্ধা তার পরিবারকে পেলেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে তার ছেলে আবু হানিফের জিম্মায় দেওয়া হয় তাকে। যাওয়ার সময় পুলিশের দেওয়া নতুন শাড়ি পরে যান তিনি।
শফিরন বেওয়া যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ওলাকোল এলাকার মৃত মাওলা বক্স ফকিরের স্ত্রী। ৮ মার্চ তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উদ্দেশ্যবিহীন ঘোরাফেরা করতে দেখেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠায় মতিহার থানার পুলিশ। তখন পুলিশকে নিজের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি বৃদ্ধা।
এ নিয়ে বুধবার পুলিশ ফেসবুকে পোাস্ট করে তার ছবি। সেই ছবি দেখে বৃহস্পতিবার মায়ের সন্ধানে রাজশাহীতে আসেন আবু হানিফ। দুপুরের দিকে বাসে করে মাকে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন হানিফ।
আবু হানিফ বলেন, চার দিন আগে তার মা বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তার মায়ের সন্ধান পাননি। বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবেশী ফেসবুকে তার মায়ের ছবি দেখে তাকে দেখান। তখন জানতে পারেন তার মা রাজশাহীতে পুলিশের হেফাজতে আছেন। পরে যোগাযোগ করে রাজশাহীতে মায়ের সন্ধানে আসেন তিনি।
আবু হানিফ বলেন, ১৫ দিন আগেও একইভাবে তার মা বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। এরপর ঢাকায় তাকে পাওয়া যায়। সেখানে পেয়ে পুলিশ তাকে সেফহোমে রাখেন। খবর পেয়ে পরে তিনি ঢাকায় গিয়ে মাকে নিয়ে আসেন। মাঝে কয়েক দিন বাড়িতেই ছিলেন তার মা। এরপর আবার হারিয়ে যান।
পেশায় চায়ের দোকানি আবু হানিফ ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। মা শফিরন বেওয়া তার কাছেই থাকেন। তার ভাষ্য, হয়তো বয়স হয়ে যাওয়ায় স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে তার মায়ের। এ কারণে তিনি বাড়ি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। এখন থেকে মাকে তিনি চোখে চোখে রাখবেন বলে জানান।
এদিকে শফিরন বেওয়া পরিবার পেলেও এখনো স্বজনদের দেখা পাননি আরএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকা মেহজাবিন (৪৫) নামের আরেক নারী। ৯ মার্চ দিবাগত রাত একটার দিকে নগরীর বামনশিখড় এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে মতিহার থানার পুলিশ। তিনি ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। পরে শফিরনের সঙ্গে তার ঠাঁই হয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
তার স্বজনদের সন্ধানেও তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, মেহজাবিন নিজেকে ঝিনাইদহের কুতুবদিয়া থানার পাহাড়পুর সিমনা এলাকার সাগর আহম্মেদের মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এমন ঠিকানার অস্তিত্ব পায়নি পুলিশ।
আরবিসি/১১মার্চ/ রোজি