স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজশাহীকে মিসিগান শহরের মতো সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ দুই দেশের একটি। যারা স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও হার্ড সায়েন্সের ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পাঠাচ্ছে। সে কারণে শিক্ষা আদান-প্রদানের উপর অর্থাৎ কীভাবে আরও বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারে এবং সেখানকার শিক্ষার্থী এখানে আসতে পারে সেক্ষেত্রে বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগর ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। এর আগে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৈজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার আরো বলেন, সিস্টার সিরিজ প্রোগ্রামের আওতায় অনুষদ ও শিক্ষকদের পড়াশোনায় অতিরিক্ত বিনিয়োগ কিভাবে করা যায় সে বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। এক পর্যায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজশাহীকে মিসিগান শহরের মতো সম্ভাবনাময় উল্লেখ্য করেন। তিনি বলেন, এ শহরে তথ্যপ্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। সিস্টার সিরিজ প্রোগ্রামে আওতায় অনুষদ ও শিক্ষকদের পড়াশোনায় অতিরিক্ত বিনিয়োগ কিভাবে করা যায় সে বিষয়েও নজর দেয়া হচ্ছে।
এর আগে রাষ্ট্রধূত নগর ভবনে পৌছলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর রাজশাহীর উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। নগর ভবনে মেয়র দফতরকক্ষে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজশাহীর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন মেয়র লিটন। এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর কবির, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূর-ঈ সাঈদ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, মিসিগান শহরের সঙ্গে রাজশাহীর বেশ মিল রয়েছে। রাজশাহীতে থেকে অনেক পন্য আমদানি-রফতানির সুযোগ আছে।
আরবিসি/১১ মার্চ/ রোজি