আরবিসি ডেস্ক : আগামী বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতায় ফেরার কথা ছিলো। তবে, বুধবার (১০ মার্চ) পায়ে আঘাত পেয়েছেন তৃণমূলের ওই নেত্রী। তাই আর দেরি না করে আজই কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি মন্দিরে পুজা দিয়ে বেরোনোর সময় ধাক্কা দিয়ে তাকে চার থেকে পাঁচ জন ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তৃণমূল নেত্রীর মাথায়, কপালে এবং পায়ে চোট লেগেছে বলে জানা গেছে। তাই প্রচার মাঝপথে বন্ধ রেখেই কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তাকে। গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। আঘাত পাওয়ায় প্রচার বন্ধ রেখেই কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মমতাকে।
রাস্তায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিলো। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারা হয়।
এর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিলো। পড়ে গিয়ে পা ফুলে গেছে বলেও জানান মমতা।
গাড়ির দরজা খুলে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, দদেখ কিতনা ফুল গয়া’। ঘটনার সময় স্থানীয় পুলিশের কেউ ঘটনাস্থলে ছিলো না বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিলো মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতায় ফিরে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করার কথা ছিলো। কিন্তু আহত মমতাকে আপাতত কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বেলভিউ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন মমতা। সেখানে গাড়ি নিয়ে একাধিক মন্দির দর্শন সারতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সবশেষে রেয়াপাড়ায় যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন, সেখানকার রানিচকের একটি মন্দিরে হরিনাম-সংকীর্তন শুনতে যান। সেখান থেকে বেরনোর সময়ই ভিড়ের মধ্যে থেকে তাকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।
এই খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
জানা গেছে, ভিড়ের মধ্যে আচমকা ধাক্কা দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে তার। আঘাত লাগে বাম পায়েও। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের কেউ ছিলো না বলে অভিযোগ। দেহরক্ষীরাই কোনো ধরনের তুলে গাড়িতে নিয়ে যান মমতাকে। রেয়াপাড়ায় ভাড়া নেওয়া বাড়ির উদ্দেশে তাকে নিয়ে রওয়ানা দেয় গাড়ি। কিন্তু পথেই অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করেন মমতা। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে একটি দোকান থেকে বরফ নিয়ে তার পায়ে দেওয়া হয়। তবে, বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতে আরও যন্ত্রণা আরও বাড়ে বলে জানা গেছে। পিঠেও যন্ত্রণা অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরবিসি/১০ মার্চ/ রোজি