• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শীর্ষ সংবাদ

চাঁপাইয়ে আমের রেকর্ড উৎপাদনের আশা

Reporter Name / ১২২ Time View
Update : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার যে দিকে চোখ যায় মুকুলের সমারোহ। মুকুলের ভারে আমগাছের ডালপালাগুলো নুয়ে পড়েছে। আর মুকুলের মৌরি গন্ধে মুখরিত জেলার আমবাগান। বসন্ত উৎসবেও ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে আমের মুকুল। জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, জেলায় এবার ৩৪ হাজার ৭৩৮ হেক্টর জমিতে আমচাষ হচ্ছে। গাছের সংখ্যা ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩০টি। উপজেলা ভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলায় ৫ হাজার ১৩৩ হেক্টর জমিতে আমগাছ রয়েছে ২৪ হাজার ৩৭৫টি, শিবগঞ্জ উপজেলায় ২০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৪ লাখ ২১ হাজার ৫০০টি, গোমস্তাপুর উপজেলায় ৪ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে ৯২ হাজার ২৫০টি, নাচোল উপজেলায় ১ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে ২৩ হাজার ৩২৫টি ও ভোলাহাট উপজেলায় ৩ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে ৬৯ হাজার।

এবারো উল্লেখযোগ্য আমের জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে আশ্বিনা, ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত বা হিমসাগর, বোম্বাই, লক্ষ্মণভোগ, মল্লিকা, আম্প্রপালি ও অন্যান্য জাতের গুটি আম। এসব জাতের মধ্যে জেলায় ৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আশ্বিনা আমগাছ রয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৬০টি, ৭ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে ফজলি আমগাছ রয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ১০৫টি, ৩ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে ল্যাংড়া আমগাছ রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ২০০টি, ১ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে গোপালভোগ আমগাছের সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৫টি, ৩ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে ক্ষিরসাপাত আমগাছ রয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৯০টি, বোম্বাই আমের জমি রয়েছে ৯১১ হেক্টর এবং আমগাছ রয়েছে ৬৮ হাজার ২২৫টি, লক্ষ্মণভোগ আমের জমির পরিমাণ হচ্ছে ২ হাজার ১৫ হেক্টর এবং আমগাছ রয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯০টি, ১ হাজার ২৯৩ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে আম্প্রপালি। এবার এ আমগাছ রয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৫টি, মল্লিকা আমের জমির পরিমাণ ৭০ হেক্টর এবং আমগাছের পরিমাণ ৫ হাজার ৫১০টি।
এছাড়া ৩ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে অন্যান্য উন্নত জাতের আমগাছ রয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৮০টি এবং ২ হাজার ৪৫৯ হেক্টর জমিতে গুটি আমগাছ রয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯০টি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এরই মধ্যে ৯৯ ভাগ আমগাছে মুকুল ফুটেছে। এবার আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আড়াই লাখ মেট্রিক টন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আরবিসি/১০ মার্চ/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category