আরবিসি ডেস্ক : করোনার জন্য শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির পাশাপাশি এবার টিউশন ফি দেবে সরকার। সেজন্য দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। আগ্রহীরা আগামী ১৮ মার্চ থেকে আবেদন করতে পারবেন।
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এ আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উপবৃত্তি পাওয়া সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় আসতে হবে। উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে। তবে, যেসব প্রতিষ্ঠান কোনো উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতাভুক্ত আছে, তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ আবেদন জরুরিভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দফতরে জমা দিতে হবে। ১৮ মার্চের মধ্যে কর্মকর্তাদের তা যাচাই-বাছাই করে স্কিম পরিচালকের দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। হার্ড কপি ও ইমেইলে আবেদন পাঠাতে হবে।
দেশের তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া অন্য ৬১ জেলা সদরের পৌরসভা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত ছিল না। বর্তমানে সব জেলা সদরের পৌরসভা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে। তবে, এক্ষেত্রে উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের জন্য তাদের তালিকা স্কিম পরিচালকের কাছে পাঠাবেন। যেসব প্রতিষ্ঠান উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতাভুক্ত আছে তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
এ কর্মসূচির আওতায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে, বিএম শাখার শিক্ষার্থীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।
যারা আবেদন করতে পারবেন : সমন্বিত কর্মসূচির আওতাভুক্ত নয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি থাকতে হবে। সরকারি-বেসরকারি এমপিওভুক্ত বা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে।
সমন্বিত উপবৃত্তির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির অনুমোদনের রেজুলেশন, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমতি বা স্বীকৃতিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষর থাকতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এসব কাগজপত্র উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে স্কিম পরিচালক বরাবর আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে পাঠাতে হবে।
প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি না থাকলে সহযোগিতা চুক্তিপত্রের নমুনা কপিতে সভাপতির স্বাক্ষরের জায়গায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেট্রোপলিটনের ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষর করবেন। সহযোগিতা চুক্তিপত্রের নমুনা কপি উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দফতরে অথবা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এবং প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো উপবৃত্তির প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল না তারাও কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
আরবিসি/০৯ মার্চ/ রোজি