রাবি প্রতিনিধি : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ছাত্র-শিক্ষক-অবিভাবক ঐক্য’র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান তাঁরা ।
মানববন্ধনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং লেখক মুশতাক হত্যাকাণ্ড ও কার্টুনিস্ট কিশোরকে অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যারা তৈরি করেছে তারা দেশের মানুষকে বুদ্ধিহীন প্রাণি মনে করেন। আইন করে যদি কোন সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান রক্ষা করতে হয়, তাহলে তার সম্মান থাকার কথা নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা একটি আইন যার লক্ষ্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে ব্যক্তিক্ষেত্রে ব্যবহার করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুশতাক, কিশোরসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত সকলের জন্য আমরা আগেও আন্দোলন করেছিলাম। এই আইনের ফলাফল আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম তাই হচ্ছে। এটাকে এখন আর আইন বলার উপায় নেই।’
এসময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আজ আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে। দেশের নাগরিক হিসেবে একজন মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। এটা তার অধিকার। শুধু এই মত প্রকাশ করার কারণে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা এমনটি আশা করি নি। আমরা এই আইন বাতিল চাই।’
এ্যডভোকেট হাসিব উদ্দীন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে ডিজিটাল হিংস্রতা করা হচ্ছে। এই আইনের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো বাক প্রতিবন্ধী আইন। স্বাধীনতার মান অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা এই আইনের বাতিল চাই।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খান, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রিদম শাহরিয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক এ্যডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন প্রমুখ।
আরবিসি/০৮ মার্চ/ রোজি