স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী রাইফেল ক্লাবের আরেকটি শ্যুটিং রেঞ্জ হচ্ছে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়ায় দেড় বিঘা জমির ওপর শ্যুটিং রেঞ্জটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ এর ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেছেন।
নির্ধারিত স্থানটির পশ্চিম পাশেই রয়েছে ‘নাইস গার্ডেন’ নামের একটি বিনোদন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট। এটির মালিক রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়ামোদী ব্যক্তি খন্দকার হাসান কবির। শ্যুটিং রেঞ্জ করতে তিনিই দেড় বিঘা জমি দিয়েছেন বিনামূল্যে। শ্যুাটিং রেঞ্জের জন্য খন্দকার হাসান কবিরের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতে তার নামেই করা হচ্ছে শ্যুটিং রেঞ্জটি।
সোমবার নাইস গার্ডেনে রাজশাহী রাইফেল ক্লাবের বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়। আর এ দিনই খন্দকার হাসান কবির শ্যুটিং রেঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করা হলো। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে রাইফেল ক্লাবের একটি আধুনিক শ্যুটিং রেঞ্জ হচ্ছে এটা সত্যিই অসাধারণ বিষয়। এটির উন্নয়নের জন্য শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন সব সময় পাশে থাকবে। সরকারের কাছ থেকে বাজেট বরাদ্দ এনে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রাইফেল ক্লাবের সভাপতি ও নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। তিনি বলেন, ক্রীড়াই একমাত্র শক্তি যা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে শ্যুটিং রেঞ্জের জন্য খন্দকার হাসান কবির যে অবদান রাখলেন তা প্রশংসার দাবিদার।
অনুষ্ঠানে খন্দকার হাসান কবির বললেন, শ্যুটিং তাকে সব সময় টানে। সে কারণে রাজশাহী রাইফেল ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। এরপর যখন দেখলেন একটি জমির জন্য আধুনিক শ্যুটিং রেঞ্জ হচ্ছে না তখনই তিনি জমি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ক্রীড়াঙ্গনের জন্য তিনি এভাবেই পাশে থাকতে চান।
স্বাগত বক্তব্য দেন- রাজশাহী রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ.ন. ইশতিয়াক আহমেদ বাবলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন- শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদের সহধর্মীনি আলেয়া হামিদ ও পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের সহধর্মিনী লায়লা সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী রাইফেল ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, হাসান আলী, যুগ্ম সম্পাদক সালাহউদ্দিন রাজু, মাকসুদুল করিম, খন্দকার হাসান কবিরের সহধর্মিনী নাইস কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাজশাহী নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং রাইফেল ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বনভোজনের মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন সবাই।
আরবসি/ি০৮ র্মাচ/ রোজি