• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

Reporter Name / ৮০ Time View
Update : রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার সূর্যোদয়ের পর পরই সকল সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৯টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সরকারি নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘৭ মার্চ : স্বাধীনতার জীয়নকাঠি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী জলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর প্রধান অতিথি উপস্থিত হিসেবে ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)’র কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান রাজা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। সভায় বক্তাগণ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর ও জেলা কমিটি যথাযোগ্য মর্যাদার নানা কর্মসূচি পালন করে। নগরীর কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকযোগে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার হয় দিনভর। সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।

পরে আলোচনা সভায় এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ঐতিহাসিক ৭মার্চ বাংলাদেশে এই প্রথম জাতীয় ভাবে পালিত হচ্ছে। রেসক্রোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর এই ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই ভাষণ পরবর্তীতে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের মতো করে বাঙ্গালী জাতির হৃদস্পন্দন পরিপূর্ণ ভাবে ব্যক্ত করেছিলেন। আর সেই থেকেই বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতার লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা শুরু করেছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ পৃথকভাবে দিবসটি পালন করে। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

আরবিসি/০৭ মার্চ/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category