স্টাফ রিপোর্টার: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল নয় টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাব ও বিস্তারের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারি নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সাড়ে নয় টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘৭ মার্চ : স্বাধীনতার জীয়নকাঠি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী জলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর প্রধান অতিথি উপস্থিত হিসেবে ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)’র কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান রাজা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। সভায় বক্তাগণ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তৃতা প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বিশ^নন্দিত অলিখিত ভাষণের মাধ্যমে বাঙালির হৃদয়-স্পন্দনে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি জনতার মনের ভাষা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দিন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, তোমরা ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকেই বাংলার জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শত্রুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের পতাকা।
তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বিলাশবহুল গাড়িতে ছিল না, তাঁর রাজনীতি ছিল মাঠে-ঘাটে জনতার সাথে একাত্ম হয়ে। তিনি জনতাকে আগুনের মুখে রেখে পালিয়ে যেতে চাননি। তিনি বাংলার মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সে কারণে বঙ্গবন্ধুর উপর জনগণের বিশ^াস ছিল অপরিসীম। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ জনতাকে জিজ্ঞেস করেছিল আমার উপর তোমাদের বিশ^াস আছে, সবাই একযোগে বলেছিল হ্যাঁ আছে।
সভাশেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
আরবিসি/০৭ মার্চ/ রোজি