আরবিসি ডেস্ক : আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (আইএসএ) পরিষদ-সদস্য নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চার বছর মেয়াদে এই পরিষদ কাজ করবে।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের সদরদপ্তর জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টোনে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশনের আওতায় বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণে আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ এলাকায় খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত সবধরণের কার্যক্রম সংগঠন, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। পরিষদটির সদস্য সংখ্যা ৩৭। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিপুল জনসংখ্যার বাংলাদেশে ভূমি-ভিত্তিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমুদ্র সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার অর্থাৎ সুনীল অর্থনীতিকে বাংলাদেশ তার সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এছাড়া মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত বিশাল সমুদ্র সীমার সবটুকু সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাসমূহ পরিপূর্ণভাবে ঘরে তুলতে জাতীয় সমুদ্রসীমার বাইরে বিশেষ করে আইএসএ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সমুদ্র সম্পদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারে বাংলাদেশের পূর্ণ প্রবেশ করা প্রয়োজন। এ কারণে আইএসএ-এর কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (আইএসএ) সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নিজস্ব স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের কার্যকরি পরিষদের বর্তমান সভাপতি।
আরবিসি/০৫ মার্চ/ রোজি