আরবিসি ডেস্ক : রংপুরের বদরগঞ্জে মাহবুবা আক্তার মেরি (২২) নামে অসুস্থ মেয়ের গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বদরগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়ে নিহতের মা নুর নাহার বেগম হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানান বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান।
শুক্রবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বুজরুক হাজিপুর গাছুয়াপাড়া গ্রামে মাহবুবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মধুসুদন রায় ও এএসপি সিফাত ই রাব্বান।
মাহবুবা আক্তার মেরী ওয়ারেছিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা মেনহাজুল হক উপজেলার রামনাথপুর বিইউ দাখিল মাদরাসার সুপারিটেনডেন্ট।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালের মেয়ের শয়ন ঘর থেকে মা নুরনাহার চিৎকার করে উঠেন। তা শুনে আশেপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। মাহবুবার মৃত্যুর কারণ হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়। প্রথমে নিহতের মা নুর নাহার বলেন, শয়ন ঘরে মেয়ের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি গলায় ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছিল। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা নিস্তেজ হয়ে যায়। আমার মেয়ের মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। পরিবারের লোকজনকে সে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। ওই রাতেই পুলিশের সন্দেহ হলে নিহতের মা নুর নাহারকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়।
দরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, অসুস্থতার কারণে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পেছন দিক থেকে ছুরি দিয়ে মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে মা নুর নাহার।
আরবিসি/২৮ ফেব্রুয়ারী/ রোজি