স্টাফ রিপোর্টার : অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজশাহী মহানগরীর জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় ‘ছাত্র-শিক্ষক-নাগরিক সমাজ, রাজশাহী জেলা’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‘শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা ছাত্রসমাজ মানে না’, ‘শিক্ষামন্ত্রী করে কি? খাই দাই ঘুমাই নাকি’, ‘বেকারত্বের হাহাকার শিক্ষা মোদের অধিকার’, ‘দাবি মোদের একটাই মার্চেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা চাই’ সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন তারা।
মানববন্ধনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ছাত্র আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার ভয়েই তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে না। আজ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাহীন প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠছে। আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে ও জোরালো দাবি জানাতে হবে।’
রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ বলেন, ‘সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারনা করেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। শুধু আমরা নই আমাদের অভিভাবকরাও দিন দিন দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মারাও গেছে। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিন। নয়তো ছাত্রসমাজ মাঠে নামলে পালানোর পথ পাবেন না।’
রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান বলেন, ‘ঈদের আগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। শিক্ষার সাথে শুধু শিক্ষার্থীই নয়, আরও অনেক কিছুই জড়িত। রাজশাহী শিক্ষা নগরী৷ পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্ট। বর্তমানে শিক্ষার সাথে সাথে ব্যবাসাও পণ্ড হচ্ছে। আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।’
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা নুর হোসেন মোল্লা, অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত বেগ, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশীদ, রাজশাহী মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ বিন আফতাব, সাহেববাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অশোক কুমার সাহা, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর, যুব অধিকার পরিষদের সদস্য মহিবুল প্রমুখ।
মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর দুপুর বারোটায় একই স্থানে চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিতের প্রতিবাদে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আরবিসি/২৭ ফেব্রুয়ারি/ রোজি