আরবিসি ডেস্ক : পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের ভোটের প্রচার। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৩০ পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।
মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের এ ভোটে কয়েকটি দল অংশ নিলেও বরাবরের মতই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে।
এ ধাপের ভোটে সহিংসতা-গোলযোগ যেন না হয়, সে বিষয়ে ‘কঠোর অবস্থানে’ থাকার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগের চার ধাপের চেয়ে এবার ‘ভালো’ ভোট হবে বলেও প্রত্যাশা করছেন ইসি কর্মকর্তা।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “পঞ্চম ধাপের সব পৌরসভায় প্রার্থীরা প্রচার শেষ করেছেন; ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পৌরসভায় মক ভোটিংও সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।”
মহামারীর মধ্যে এ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ হয়, সেজন্যও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন এ কর্মকর্তা।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে ‘সব ধরনের’ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আশা করি, এ ধাপে কোনো ধরনের অভিযোগ ও গোলযোগ হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় কোনো কোনো জায়গায় তুলনামূলক বেশি সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”
ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, এ ধাপে মেয়র পদে নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন ১০০ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩১৮ জন লড়ছেন। ৩০ পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন ১৪ লাখের বেশি।
পৌরভোটে যাতে সহিংসতা না হয়, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, “আমরা মিটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিরেকশন দিয়েছি। রিটার্নিং অফিসার, ডিসি এবং ওসির সঙ্গে কথা বলছি।ৃ সতর্ক করেছি যাতে তারা হার্ড লাইনে থাকেন। এসব ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকার কথা বলেছি।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার ছয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচন করছে কমিশন। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। এরপর ১৬ জানুয়ারি, ৩০ জানুয়ারি এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি পরের তিন ধাপের ভোট হয়। রবিবার পঞ্চম ধাপের ভোট শেষে ১১ এপ্রিল ষষ্ঠ ধাপে ৯টি পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
আরবিসি/২৭ ফেব্রুয়ারি/ রোজি