আরবিসি ডেস্ক : করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় একবছর ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ২৪ মে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও স্কুল-কলেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
২৮ ফেব্রুয়ারি স্কুল-কলেজের ছুটি শেষ হওয়ার কথা। তবে মহামারির প্রকোপ কমে যাওয়ায় কবে থেকে স্কুল-কলেজ খুলবে তা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকার প্রধানের সেই নির্দেশে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ডেকেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই দিন বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) মাহমুদ ইবনে কাশেম বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বলেন, শনিবার বিকেল ৩টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ বছরের মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও প্রাথমিকের অন্যান্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষা স্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঈদের পর ২৪ মে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার প্রকোপ দেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্কুল-কলেজ খুলতে পর্যালোচনা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে ওই দিনের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ সপ্তাহে না হলে আমরা আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে বসে যাব। বসে বিশেষজ্ঞ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসতে বলা হয়েছে। তারা প্রিভিউ করবে আমরা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খুলবো কিনা বা কখন খুলবো।
কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না। কোনো তারিখের কথা বলা হয়নি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে গ্রামগঞ্জে দেখা গেছে ছেলেমেয়েরা একটু ফ্রিলি মুভ করছে। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভ্যাকসিনটা আগে কনফার্ম করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও তা কেবল এসএসসি এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণিগুলোর জন্য খুলে দেওয়া হবে।
আরবিসি/২৫ ফেব্রুয়ারি/ রোজি