জয়পুরহাট প্রতিনিধি: বলসুন্দরি ও সিডলেস (আঁটি বিহীন) কাশ্মীরি আপেলকুল চাষ করে ভাগ্য বদলিয়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের রাশেদুজ্জামান। প্রচন্ড সুস্বাদু, মিষ্টি আর লাল টুকটুকে রংয়ের এসব বরই চাষে তিনি এলাকার মডেল হয়েছেন। অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক তার এ সাফল্যের পথে হাঁটছেন।
উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে রাশেদুজ্জামান পড়ালেখার পাঠ শেষে কয়েক বছর চাকরির পিছনে ছুটেছেন। চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ না হয়ে সমাজে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে বরই চাষ শুরু করেন।
মহিপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ৮ বিঘা পতিত জমি লিজ নিয়ে প্রথমে নার্সারি করেন। নিজেই নার্সারিতে বরই গাছেরচারা তৈরী করে তাদিয়েই বাগান শুরু করেন। একবছর বয়সেই চারাগাছ প্রায় ৫ ফুট লম্বা আকার পায়, বাগানও ভরে ওঠে বরইয়ে। বাগান করতে তার দুই লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে জানায় রাশেদ। কিন্তু এ বছরই বরই বিক্রি করে তিনি ৫ লাখ টাকার অধিক আয় হবে বলে আশা করছেন।
রাশেদের বাগানে গিয়ে দেখাযায়, প্রতিটি গাছে বলসুন্দরি ও সিডলেস বরইয়ে ছেয়ে আছে। ফলের ভারে গাছ ও ডালগুলো মাটির সাথে ন্যুয়ে আছে। ভারসাম্য রক্ষার্থে বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে। পাহারা দেওয়ার জন্য বাগানের তিন পাশে উঁচু করে টোল টাঙানো হয়েছে। দিন-রাত পালাক্রমে পাহারা দেওয়া হচ্ছে বাগানের বরই। বাগান থেকে পাইকারি ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও বাজারে খুচরা মূল্য ৭০-৮০ টাকা।
বাগান মালিক রাশেদ বলেন, বাগান করতে প্রথমে অনেক খরচ হলেও পরবর্তীতে আর তেমন খরচ হয় না। পরের বছর থেকেই এ বাগান থেকে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা আয় হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, তার নার্সারি থেকে এ পর্যন্ত ২০-২৫ জন বিভিন্ন জাতের বরইসহ অন্য ফলের চারা নিয়ে বাগান করেছে। নার্সারি থেকে স্বল্প মূল্যে এসব চারা বিক্রি করছেন, অন্যদের পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছেন বাগান করার।
উপজেলা কৃষি অফিসা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় অনেক বরই বাগান রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস প্রতিটি বাগান মালিককে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও তিনি জানান।
আরবিসি/২৪ ফেব্রুয়ারি/ রোজি