চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : আসন্ন ২৮ ফেব্রুয়ারী চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- মনোনীত প্রার্থী মাসউদা আফরোজ হক শুচির বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকের বিরুদ্ধে। এমপি আমিনুল নেতাকর্মী ও অর্থ দিয়ে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আমানুল্লাহ মাসুদকে সহায়তা করছেন বলেন জানিয়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীর। তার এমন দলবিরোধী কর্মকান্ড থেকে তিনি ফিরে না আসলে তাকে বিএনপি থেকে স্থায়ী বহিষ্কারেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
নাচোল পৌর বিএনপির আহবায়ক এটিএম মাসুদ হাসান রানা- ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাসউদা আফরোজ হক শুচির পক্ষে পৌর বিএনপি ও এর অংগসংগঠন কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির স্থানীয় সাংসদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করতে বিভিন্নবভাবে পাঁয়তারা করছেন। এমপি আমিনুল বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আমানুল্লাহ মাসুদকে আর্থিক সহায়তা সহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তাও করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পৌর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আমানুল্লাহ মাসুদকে এমপি আমিনুলই দাঁড় করিয়েছেন। তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মসাদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দুরুল হোদার মাধ্যম দিয়ে মাঠে তার নেতাকর্মীদেরকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে হারানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এছাড়াও এমপি তার স্ত্রী সাবিনা ইসলাম ও শ্যালক নোমান আলীকে নিয়ে মাঠে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করছেন।
সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমিনুল কখনোই ছাত্রদল-যুবদল কিংবা বিএনপির কেউ ছিলেন না। গত সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসেন এবং আমরা তাকে নির্বাচিত করেছি। পরে তিনি প্রভাব খাটিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। দল থেকে এমপি আমিনুলকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইমতিয়াজ বলেন, বিএনপির প্রার্থীকে হারাতে এমপি আমিনুলের স্ত্রী বলেছেন যত টাকা লাগুক না কেন শুচিকে হারাতেই হবে।
হাসান দলীয় হাইকমান্ডের কাছে আজীবনের জন্য ধানের শীষ প্রতীকের বিধোধীদের বহিস্কার দাবি করেন।
এমপি আমিনুলের বিরোধিতা বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী শুচি বলেন- গত সংসদ নির্বাচনে আমিই উনার সকল নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে তিন থানায় অমানুষিক পরিশ্রম করেছি। কিন্তু আমার নির্বাচনের সময় দলের বিপক্ষে উনার অবস্থানে খুবই মর্মহত হয়েছি। তবে শেষ মুহুর্তে দলের পক্ষেই স্থানীয় সাংসদ আমিনুল ইসলাম ফিরে আসবেন বলে আশাবাদী শুচি। শুচি আরও জানান, রেল ইঞ্জিন নিয়ে নির্বাচল করা আমানুল্লাহ মাসুদের শ্বশুর বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
এদিকে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন এমপি আমিনুল ইসলাম।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ইভিএমে নাচোল পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারাও নিজ নিজ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন।
আরবিসি/২৩ ফেব্রুয়ারি/ রোজি