স্টাফ রির্পোটার : রাজশাহীর বাগমারায় ভবানীগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখায় চেক জালিয়াতির মাধ্যমে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের হিসাব নম্বর থেকে গোপনে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহসিন আলী সরকার সোনালী ব্যাংক শাখার শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তবে সোনালী ব্যাংক ভবানীগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক আহম্মেদ তারিক হাসান অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহীর সর্ববৃহৎ উপজেলা বাগমারা। একটি মাত্র সোনালী ব্যাংকের শাখা থাকায় শিক্ষকদের বেতনসহ বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা থাকে। এরমধ্যে ভুলত্রুটি হতে পারে বলেও তিনি স্বীকার করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নরসিংহপুর-বান্দাইখাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহসিন আলী সরকারের সোনালী ব্যাংক ভবানীগঞ্জ শাখায় ৪৬০৩৭৩৪০৩৭২৭৪ নম্বর ব্যাংক হিসাব রয়েছে। হিসাব নম্বরে তার বেতনের টাকা জমা হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তার হিসাব নম্বর থেকে চেক স্বাক্ষর ছাড়াই এসবি ৪৬০৩২০০৫৬৭২ নম্বর চেক ব্যবহার করে পঁচিশ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন।
অধ্যক্ষ মহসিন আলীর অভিযোগ, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে তার হিসাব নম্বর থেকে বিনা চেক ও স্বাক্ষর ছাড়াই টাকাগুলো উত্তোলন করেছেন। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক মাস পূর্বে তার হিসাব নম্বর থেকে ত্রিশ হাজার টাকা একই কায়দায় উত্তোলন করা হয়েছিল। বিষয়টি তিনি শাখা ব্যবস্থাপককে জানালেও কোন প্রতিকার পাননি।
এছাড়াও তার ব্যাংক ঋণ পরিশোধের পরও ব্যাংকের কর্মকর্তারা তার বেতন থেকে প্রতি মাসে টাকা কেটে নিত। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ মহসিন আলী সরকার জানান, সোনালী ব্যাংক ভবানীগঞ্জ শাখার অধিকাংশ কর্মকর্তা ও কর্মচারি বাগমারার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় এমন ধরনের কর্মকান্ড সৃষ্টি করছে। তারা শিক্ষকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সবসময়ই খারাপ আচরন করেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক ওই সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ভবানীগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক আহম্মেদ তারিক হাসান জানান, বাগমারায় কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বিভিন্ন এনজিওতে তাদের স্বাক্ষরিত চেক বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহন করে থাকেন। অধ্যক্ষ মহসিন আলী সরকারও কোন না কোন সংস্থার কাছে তার স্বাক্ষরিত চেক বন্ধক রেখে টাকা গ্রহন করেছিলেন। সংস্থার ব্যক্তিরাই তার হিসাব নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন।
আরবিসি/২৩ ফেব্রুয়ারি/ রোজি