রাবি প্রতিনিধি : আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হল খুলে দেওয়া না হলে মার্চের ১ তারিখে তালা ভেঙে হলে ঢোকার হুঁশিয়ারী দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছনের চত্বরে সমবেত হয়ে শিক্ষার্থীরা এ হুঁশিয়ারী দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের সাথে ইউজিসির বৈঠক আছে। বৈঠকে যদি হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয় তাহলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এরপরও যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল না খুলে দেয় তাহলে আগামি ১ মার্চে তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করা হবে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম দুখু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। আর করোনার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও অনেকটা নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলে আর আমাদের মেসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক কোন সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে আমরা ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের’ স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন। এজন্য দুই দিন আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপরেও যদি কোন যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে ২৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঘোষণা জানিয়ে দিব। তবে ২৮ তারিখের পর আমরা আর চুপ করে থাকবো না। পহেলা মার্চেই যে কোন ভাবে হলে প্রবেশ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে গত দুই দিন ধরেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
আরবিসি/২২ ফেব্রুয়ারি/ রোজি