পুঠিয়া প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় মাছুরা বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে উপজেলা শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া দিয়ারপাড়া এক নৃশংস হত্যাকান্ডে ঘটনাটি ঘটে। হত্যাকারী স্বামী ওই এলাকার মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৬৫)। পরে নিহতের ভাই মহসিন আলী বাদি হয়ে হাবিবুর রহমানকে আসামী করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এই ঘটনায় হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার কছেন।
মামলার বাদি মহসিন আলী জানান, বিয়ের পর থেকে আমার বোনকে হাবিবুর রহমান বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। প্রায় প্রতি মাসেই এ নিয়ে সালিশ করতে হতো। গতকাল রাত্রিতে খাওয়া দাওয়ার পর বাড়ির একটি কক্ষে মৃত মাছুরা বেগম ও তার স্বামী হাবিবুর রহমান এবং অপর একটি কক্ষে তার ছেলে ঘুমাতে যায়। রাত্রি দেড়টার দিকে হাবিবুর রহমান তার স্ত্রীকে ঘরে থাকা হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে এবং জবাই করে হত্যা করে। সেসময় পাশের কক্ষে থাকা তার ছেলে মায়ের আত্নচিৎকারে ঘরে থেকে বের হতে চাইলে বাহির থেকে ঘরে ছিকল দেওয়ার কারণে সে ঘর থেকে বের হতে পারেনি। এসময় সে ঘরে জানালা ভেঙ্গে মায়ের ঘরে জানালা দিয়ে ঘরে গিয়ে মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। সেসময় তার বাবা ঘরে হাসুয়া নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং হাবিবুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হাবিবুর রহমান তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। এনিয়ে গ্রামে বিচার পর্যন্ত হয়েছে। তবে অভিযোগ কখনই প্রমাণ হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা হাবিবুরের সন্দেহ বাতিক আছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মামলার পর আটক হাবিবুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলেও ওসি জানান।
আরবিসি/২০ ফেব্রুয়ারি/ রোজি