• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন

রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার শেষে মঙ্গলে নাসার রোবট যান

Reporter Name / ১২৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার শেষ হলো মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার। দীর্ঘভ্রমণ শেষে অবশেষে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করলো নাসার মহাকাশযান ‌‘পারসেভারেন্স’। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে পারসেভারেন্স মঙ্গলে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে লস অ্যাঞ্জেলসের জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন বিজ্ঞানীরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ছয় চাকার এই স্বয়ংক্রিয় রোবট যানটি পৃথিবী থেকে তার ৪৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৪৭ কোটি মাইল পথের যাত্রা শুরু করেছিল সাত মাস আগে। আজ তার যাত্রার অবসান হলো। জাজেরো নামে গভীর গর্তে (ক্র্যাটার) অবতরণ করে রোবট যান পারসেভারেন্স। আগামী দুই বছর মঙ্গলে অবস্থান করে সেখানে পাথর খননসহ সেখানে অতীতে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করবে যানটি।

সেইসঙ্গে সেখান থেকে তথ্য ও ছবিও পাঠাবে বিজ্ঞানীদের কাছে। এছাড়া বিলিয়ন বছর আগে সৃষ্টি হওয়া জাজেরো ক্র্যাটারের ধুলাবালুর মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে রোবট যানটি, যা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে গ্রহটিতে অতীতে জৈব কোনো কর্মকাণ্ডের সন্ধান ছিল কি না। সবচেয়ে লক্ষণযুক্ত ও সম্ভাবনাময় নমুনা পৃথিবীতে পাঠানো হবে ভবিষ্যত মিশনের প্রস্তুতির জন্য।

এর আগে, মঙ্গলগ্রহে নভোযান অবতরণের ১৪টি প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে আটটি আর এর সবগুলোই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিশন। তবে ১৯৯৯ সালে একবার নাসার মঙ্গল মিশন ব্যর্থ হয়েছিল। এবছর মঙ্গলে আরেকটি সফলতার পালক যুক্ত করলো নাসা।

নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির পরিচালক মাইক ওয়াটকিনস পারসেভারেন্স টিমের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‌‘এই সাফল্য ভবিষ্যতে লাল গ্রহে (মঙ্গলে) মানুষের যাত্রার পথ তৈরি করবে।’

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর জন্য আমরা এখনও প্রস্তুত নই, তবে আমরা রোবট পাঠিয়েছি।’

পারসেভারেন্স মঙ্গলে অবতরণের আগ পর্যন্ত উৎকণ্ঠা ছিল সবার মধ্যে। অবতরণের আগে পারসেভারেন্সের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক ম্যাট ওয়ালেস বলেন, ‘মঙ্গলের পৃষ্ঠে ভবিষ্যতের মিশন পাঠানোর আগে আমাদের আগে মঙ্গলে ঠিকমত অবতরণ করতে হবে। আর সেটাই সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ‘মহাকাশ মিশনে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম হল সফল অবতরণ। মঙ্গলগ্রহে এর আগে যেসব মিশন পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ যান মঙ্গলের পিঠে সফলভাবে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন জাজেরোতে রোবট যানটি নিরাপদে নামানো।’

আরবিসি/১৯ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category