স্টাফ রিপোর্টার : আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি রাজশাহী। আর রাজশাহী মূলত চারঘাট-বাঘার আম নিয়েই রাজশাহী আমের জন্য বিখ্যাত। আমের গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে বাতাসে বইছে আমের মুকুলের মৌ মৌ সুবাস।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। সেই মুকুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। এখন চলছে বাগান পরিচর্যায় কাজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পরিচর্যা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
বাগান মালিকরা জানান, পৌষের মাঝামাঝিতেই গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। তাই জোরেশোরে নিচ্ছেন বাগানের পরিচর্যা।
সরজমিনে গিয়ে কালুহাটি এলাকার আম চাষী বাহাদুর রহমান কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর গাছে গাছে রেকর্ড পরিমান মুকুল দেখা পাওয়ায় মনটা ভালোই লাগছে। তবে এ মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা দেখা দিলে আমের মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমের মুকুলে কৃষকদের মনে আশার প্রদীপ জ্বলছে বলে দাবি করেন তিনি।
পান্নাপাড়া গ্রামের আমচাষি সেলিম রেজা জানান, গাছে মুকুল আসার পর থেকে আম সংগ্রহ পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয়বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তাতে হেক্টরে ৩৮ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বালাইনাশক লাগে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, চারঘাটে এবার ব্যাপক আমের মুকুল এসেছে। এখন পরিচর্যা করছেন চাষীরা। কুয়াশা দেখা দিলেও রৌদ্রের কারণে আমের মুকুলের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
আরবিসি/১৭ ফেব্রুয়ারি/ রোজি