• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন

অক্সফোর্ডের টিকা : জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল ডব্লিউএইচও

Reporter Name / ১৫৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।

সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এসকে বায়ো উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশেও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই টিকা ব্যবহারের অন্তর্র্বতীকালীন সুপারিশ করার কয়েক দিনের মধ্যে এই টিকা সংস্থাটির অনুমোদন পেল বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ওই প্যানেল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে বলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের যে ধরন দেখা দিয়েছে সেটাসহ সব দেশেই প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাটি প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় যে কোনো টিকার জন্য আবশ্যক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তুলনামূলক কম দাম এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার চেয়ে বিতরণ সহজ হওয়ায় এই টিকার প্রশংসা করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল ডব্লিউএইচও।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “দ্রুত টিকা বিতরণের সব বন্দোবস্ত এখন আমাদের আছে। তবে এখনও আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।”

টিকা প্রস্তুতকারকদের প্রতি ধনী দেশগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি তাদের কাছেও কোভিড-১৯ টিকার নথিপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যেই তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া এই রোগে এরইমধ্যে ১০ কোটি ৮৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ২৪ লাখের বেশি মানুষের।

বাংলাদেশেও ৫ লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং ৮ হাজার ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে।

বাংলাদেশ এরইমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের টিকার তিন কোটি ডোজ কিনেছে। তার প্রথম কিস্তির ৫০ লাখ ডোজ টিকা গত মাসে দেশে এসেছে। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে আরও ২০ লাখ ডোজ। এসব টিকা দিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়েছে।

এর বাইরে কোভ্যাক্স থেকেও ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের জন্য গড়ে ওঠা এই বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই বেশি সংগ্রহ করছে। তারা ১৪৫টি দেশে ৩৩ কোটির বেশি ডোজ টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে, যা চলতি মাসের শেষ দিকেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

আরবিসি/১৬ ফেব্রুয়ারী/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category