আরবিসি ডেস্ক : ইন্টারনেটে ডাটা কখনোই শতভাগ সুরক্ষিত নয়। ইন্টারনেটে প্রায় সব কিছুই হ্যাক করা সম্ভব। কিন্তু চাইলে আপনি নিজের তথ্য ও ডাটা সুরক্ষার বেড়াজালে বন্দি রাখতে পারেন। সম্প্রতি ৩০০ কোটি জিমেইল ও হটমেইল পাসওয়ার্ড লিক হয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে তা আগামী দিনে আরও দেখতে পাওয়া যাবে। কারণ মনে রাখবেন একটা শ্রেণি যেমন সাইবার সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য বিভিন্ন সিকিউরিটি গার্ড আনছে, নানা ধরণের সফটওয়ার নিয়ে আসছে, ঠিক তেমনই আরেকটা শ্রেণি এই সিকিউরিটির দরজা ভাঙার জন্য নানা ধরণের গবেষণা করে চলেছে। সাইবার সিকিউরিটির লেয়ার ভেঙে কীভাবে ভেতরে ঢোকা যায়, তাঁর চেষ্টা প্রতিনিয়ত চালানো হচ্ছে।
অনেকেই অন্যের সিস্টেম হ্যাক করে তার গোপন তথ্য দেখার পিছনে একটা মজা পেয়ে থাকে। ইন্টারনেটে যে একটা নিরাপত্তার অভাব আছে তা সবাই জানে।
পৃথিবীর অনেকে দেশেই ডাটা প্রটেকশন আইন রয়েছে। যাতে উল্লেখ আছে, যদি কারও সিস্টেম থেকে ডেটা লিক হয়ে যায়, তাহলে তার সমস্ত গ্রাহককে জানাতে হবে সমস্যার কথা। পাশাপাশি ক্ষতির তালিকা গ্রাহককে পাঠাতে হবে। এছাড়াও ডেটা গুলোকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব থাকবে কোম্পানির। যদি তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে তার ক্ষতিপূর্ণ দিতে হবে গ্রাহককে।
ডেটা সুরক্ষিতভাবে রাখতে না পারে, তাহলে তার ক্ষতিপূরণ দেবে সংস্থা। গুগলের যে পাসওয়ার্ড লিক হয়ে গিয়েছে, যার মারফত যদি গ্রাহকদের কোনও ক্ষতি হয় তাহলে দায় নিতে হবে গুগলকে। কিন্তু, গ্রাহকদের কাছে যেটি খুবই অ্যালার্মিং তা হল বিভিন্ন জায়গায় এথিকাল হ্যাকার্সের কোর্স হয় বা বিভিন্ন ভিডিও থেকেও হ্যাক করা শেখানো হয়। যা সহজে ইউটিউবে পাওয়া যায়। কিন্তু এটা কতটা এথিকাল তার হিসেব কে রাখছে? শেখার পর তারা কোথায় যাচ্ছে? জানা নেই। তাদের একাংশ কোনও সংস্থার আওতায় থাকে না। তাহলে সে দিকটা কীভাবে দেখা হবে?
আরবিসি/১৬ ফেব্রুয়ারী/ রোজি