স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচণী মাঠে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী একরামুল হক। তবে নির্বাচনের মাঠে দেখা নেই বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুলের।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের একরামুল হক (নৌকা) এবং বিএনপির বর্তমান মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল (ধানের শীষ)। এছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ৩১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসাবে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ক্ষমতাসিন দলের মেয়র প্রার্থী একরামুল হক প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। একরামুল হকের সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিয়ে প্রতিদিনই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, সরদহ ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু, ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন, নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল, যুবলীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন, ছাত্রলীগের সভাপতি আল মামুন তুষার, সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রানাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ দিক থেকে প্রচার-প্রচারনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ক্ষমতাসিন দল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী একরামুল হক। অন্যদিকে নির্বাচনী মাঠে তেমন ভাবে দেখা নেই বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুলের। নামকাওয়াস্তে দুএকটি এলাকায় প্রচারণা করতে দেখা গেলেও নেতাকর্মী শূন্য বিএনপির মেয়র প্রার্থী।
বিষয়টি সম্পর্কে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুলের দাবি গত শনিবার মিথ্যা অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমার নির্বাচনী প্রচারণা মিছিলের ওপর হামলা চালিয়েছে। আবার তারাই আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমরা কিভাবে প্রচারণা করবো সেটিই বুঝতে পারছি না।
অপরদিকে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী একরামুল হক বলেন, শনিবার বিএনপির মেয়র প্রার্থী বিকুলের সমর্থকরা আমার নৌকা প্রতীকের পোস্টারের ওপর পোস্টার টানায় এবং নৌকার পোস্টার ছিড়ে ফেলে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো চারঘাটকে অশান্ত করে তোলে। একপর্যায়ে লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭জনকে আহত করেছে। যারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারপরও আমরা ধর্য্য ধারন করে শান্তিপুর্ণ ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপির মেয়র প্রার্থী মুলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমন মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছে।
উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা জানান, তফসিল ঘোষনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই হিসাবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এ পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে সকল প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচারনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কেউ আচরনবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি কোন প্রার্থী আচারন বিধি লঙ্ঘন করেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন একটুও পিছপা হবেন না।
আরবিসি/১৫ ফেব্রুয়ারি/ রোজি