স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা, মহানগরের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের আইন কর্মকর্তা নিয়োগে আমল পরিবর্তন এসেছে। পূর্বে নিয়োগকৃত আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে শতাধিক আইন কর্মকর্তা। রোববার আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি/জিপি) শাখা’র সহকারী সচিব মো: আব্দুছ ছালাম মন্ডল স্বাক্ষরিত সলিসিটর/জিপি-পিপি(রাজশাহী)-২৯/২০০৯-২০ নং স্মারক মতে তিনি এ আদেশ রাজশাহীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ করেন।
মন্ত্রনালয় কতৃক প্রেরিত আদেশে উল্লেখ করা হয়, নবনিযুক্ত আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত সমূহে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং এল আর ম্যানুয়েল ১৯৬০ এর ২নম্বর অধ্যায়ের ৯ ও ২৭(১৭) বিধির ক্ষমতাবলে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেনের পরিবর্তে এ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি, এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম এর পরিবর্তে মহানগর পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম। সেই সাথে জননিরাপত্তা দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি হিসেবে এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান মিঠু, বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পিপি হিসেবে এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন খান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি পদ অপরিবর্তিত রয়েছে পূর্বের ন্যায় এই পদে পুন: নিয়োগ পেয়েছেন এ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিশেষ পিপি হয়েছেন এ্যাডভোকেট রাশেদুন নবী আহসানসহ ৯৪ জন পিপি, বিশেষ পিপি এবং অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে।
আর রাজশাহী জেলা জিপি (সরকারী কৌশুলী) এ্যাডভোকেট রবিউল হক কাকর এর স্থলে নিয়োগ পেয়েছেন এ্যাডভোকেট মঞ্জুর জামান মুকুল। অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী হিসেবে এ্যাডভোকেট সুনির্মল সাহাসহ ১২জন এই পদে বিভিন্ন আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আদেশে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহীর নবনিযুক্ত সরকারী কৌশলী এ্যাডভোকেট মুঞ্জুর জামান মুকুল বলেন, এ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত আজ থেকে ১৩ বছর পূর্বে আসা দরকার ছিলো। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে প্রকৃত ত্যাগিরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থান পেয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। জেলা প্রশাসন এবং সরকারি কৌশলী মিলে আমরা নতুন উদ্যোমে কাজ করবো।
আরবিসি/১৫ ফেব্রুয়ারি/ রোজি