আরবিসি ডেস্ক : ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৪০৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ১১ রানের হারায় সৌম্য ও শান্তর উইকেট। এরপর ৭১ রানের মধ্যে তামিম-মুমিনুলকে হারিয়ে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিন শেষেই বাংলাদেশ শিবিরে দেখা দেয় ফলোঅনের শঙ্কা। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে ফলোঅন এড়াতে পেরেছে টাইগাররা।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় তৃতীয় দিনের খেলা। ৭১ রানেই ৪ উইকেট হারানো টাইগাররা ভরসা করে ছিল মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাটে। কিন্তু মুশফিকের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিথুন। অফস্পিনার কর্নওয়ালের বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মিথুন। সামনে ডাইভ দিয়ে দারুণ দক্ষতায় বল তালুবন্দি করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। তবে এ ইনিংসটি খেলেছেন ৮৬ বলে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৪২।
মিথুনের বিদায়ের পর নিজের উইকেট বিসর্জন দিলেন মুশফিকুর রহিম। রাকিম কর্নওয়ালের সোজা বল রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টা করলেন তিনি। বল তার ব্যাটের নিচের অংশে লেগে চলে যায় কভারে মায়ার্সের হাতে। আউট হওয়া বলের আগের ডেলিভারীতে পুল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মুশফিক। হাল্কা বাউন্স পাওয়ায় বল ব্যাটে লেগে লেগ স্লিপের ফিল্ডারের কাছ দিয়ে বেরিয়ে যায়। কোনো রকমে বেঁচে গেলেও পরের বলে উইকেট বিসর্জন। ১০৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেন মুশফিক। তার আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৫৫।
মুশফিকুর রহিমের বিদায়ে চূড়ান্ত বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ফলোঅনের শঙ্কা তীব্র হয় টাইগার শিবিরে। মুশফিক সাজঘরে ফেরার পর লিটন দাশ (৩৮ ) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (২৮) ব্যাটে ভর করে ফলোঅন এড়াতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে এই জুটি থেকে আসে ২৬ রান। লাঞ্চ বিরতির পর আরও ২৯ রান আসে এই জুটি থেকে। একই সঙ্গে ফলোঅন এড়ায় বাংলাদেশ।
আরবিসি ডেস্ক/ ১৩ ফেব্রুয়ারি/ রোজি