• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

উন্নয়নে বদলে গেছে বাগমারা, নেপথ্যে একজন এনামুল

Reporter Name / ৭০৮ Time View
Update : শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

রোজিনা সুলতানা রোজি : রাজশাহী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরে জেলার বাগমারা উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ। সেখানে এখন বিশাল বিশাল দালান ঘর। গড়ে উঠেছে আধুনিক বিপনী-বিতান। বিশাল নিউমার্কেট। নিউমার্কেট ঘিরে এখন সারাক্ষণ মানুষের কোলাহল। পরিপাটি করে সাজানো দোকানঘর।

রাতের বেলা বিদ্যুতের আলোয় ঝলমলে সর্বত্র। শুধু নিউ মার্কেট কিংবা বড় বড় পাকা ঘর নয়, বর্তমান সরকারের আমলে গত এক যুগে এ উপজেলায় ঘটেছে শিক্ষার প্রসার। গ্রামের ধুলাময় আর কাদাযুক্ত সড়কগুলো হয়ে উঠেছে পিচঢালা সুপ্রস্ত মেঠো পথে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। গড়ে উঠেছে চিকিৎসাকেন্দ্রও। অথচ একসময় ছিলো এ উপজেলা রক্তান্ত জনপদ।

রাতে তো দুরের কথা দিনের বেলা সাধারণ মানুষ একা চলতে ভয় পেতো। তবে সময়ের ব্যবধানে এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ বাগমারায় এখন উন্নয়নে, আধুনিকতায়, শিক্ষা-দীক্ষায় লেগেছে শহরের ছোয়া। উপজেলার মানুষ এখন একান্ত কাজ ছাড়া শহরমুখি হন না। কারণ সবকিছুই এখন তাদের হাতের কাছেই। বিভাগীয় শহর রাজশাহী নগরীর চেয়ে বড় আকারের নিউ মার্কেট গড়ে উঠেছে এখন সেই সময়ের রক্তাক্ত জনপদে। এতসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের নায়ক একজন। তিনি হলেও এ আসনের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক।

১২ বছর আগের সেই বাগমারা এখন আর নেই। সেখানে এখন সবখানে উন্নয়নের ছাপ। খ্বু নিভৃত পল্লী গ্রামেও এখন উঁকি দেয় সুউচ্চ দালান, বড় বড় ভবন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লগেছে আধুনিকতার ছোয়া। বড় বড় ভবনে এখন চলে পাঠদান।

সময়ের ব্যবধানে রক্তাক্ত জনপদ নামে খ্যাত বাগমারায় পাল্টে গেছে সার্বিক চিত্র। আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছরে সকল প্রতিকূলতা ছাপিয়ে পরিনত হয়েছে শান্তির জনপদে। বিগত সময়ে চরমপন্থী ও জঙ্গিদের হাতে হত্যা নির্যাতনের ঘটনা নিত্য ঘটলেও এখন তা আর নেই। এলাকার লোকজন শান্তিতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন। এক সময়ে বাগমারার বিভিন্ন স্থানে চরমপন্থী ও জেএমবির হাতে খুন ছিল প্রতিদিনের স্বাভাবিক ঘটনা। তারা একের পর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে চলত। চাঁদাবাজিও করত ওইসব সন্ত্রাসী সংগঠন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাদের হাতে নির্যাতিত হতে হতো। স্থানীয় কিছু বিপদগামীদের সহযোগিতায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসব হত্যাযজ্ঞ চালাত। তাদের অনেকেই আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহতও হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাগমারায় চরমপন্থীদের হাতে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ ২৫ জন খুন হয়েছেন। অন্যদিকে জঙ্গিদের হাতে খুন হয় আরো আটজন। কুখ্যাত বাংলাভাই তার জেএমবি নিয়ে প্রথম আস্তানা গড়েছিলো এই বাগমারায়। জেএমবির জঙ্গিদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তবে এ সরকারের সময়ে বাগমারায় কোন খুন বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। বাগমারা এখন চরমপন্থী ও জেএমবিমুক্ত।

চরমপন্থী ও জেএমবিকে নির্মূল করা ছিল বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নির্বাচনী অঙ্গিকার। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসী ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সেই রক্তাক্ত বাগমারায় ফিরে এসেছে এখন শান্তি। বর্তমানে বাগমারায় আইনশৃংখলার অবস্থা ভালো। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি, খুন, ডাকাতির মতো বড় কোন অপরাধ এখন বাগমারায় সংঘটিত হয়না।

এক সময় এখানে জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ লোকজনকে বিপদে ফেলে মামলা-মোকদ্দমায় জড়াতেন। বর্তমান সময়ে এসে ঘটেছে তার উল্টো। আগে প্রতিদিন যে পরিমান মামলা থানায় হতো তা থেকে অনেকটায় মুক্ত অবস্থানে ফিরে এসেছে লোকজন।
দুটি পৌরসভা ও ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জেলার বাগমারা উপজেলা। এটি জাতীয় সংসদের একটি আসন। আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে এখানে স্থাপন করা হয়েছে হাটগাঙ্গোপাড়া ও যোগিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভবন। আইন শৃংখলার অবনতি যেন না ঘটে সে কারনে একটি থানার পাশাপাশি তিনটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। কখনও কোন প্রকার অনাকাঙ্খিত ঘটনা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে জেলা পুলিশের সদস্যরা ছুটে আসেন। জেলার সঙ্গে যোগযোগ পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার কারনে তা সম্ভব হচ্ছে।

বাগমারা একটি বিশাল উপজেলা। এখানে অনেক লোকের বসবাস। তারপরও এই আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের হস্তক্ষেপে এলাকায় এখন শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে। বাগমারায় এখন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই নাই। মাদকও অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে। থানায় এসে কোন দালালী কিংবা হয়রানি করার সুযোগ কেউ আর পায় না।

বাগমারা উপজেলায় শিক্ষা ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে এর আমুল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন স্থানীয় এমপি এনামুল হক। নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষা ও পাসের হার বৃদ্ধি, অবকাঠামো নির্মাণ, নতুন নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। পাস ও ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়ে ১০০% হয়েছে এ সময়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বাগমারার তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত হয়েছে, একটি কলেজ সরকারী হয়েছে। অথচ ১২ বছর আগে এ উপজেলার ছেলে মেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতে পারত না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া, নাসিরগঞ্জ, মাড়িয়া, মচমইল মহিলা ডিগ্রী কলেজ, বাগমারা ডিগ্রি কলেজ, সালেহা ইমারত ডিগ্রী কলেজসহ ছয়টি কলেজের নতুন সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বাগমারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ভানসিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কাঁঠালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, বৈলসিংহ স্কুল এন্ড কলেজ, কাচারীকোয়ালীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, শঙ্করপৈ উচ্চ বিদ্যালয়, কোনবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, একডালা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকারের সময়ে উপজেলার ৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ ও ৫১টির সংস্কার করা হয়েছে।

বিভিন্ন কলেজে সম্মান কোর্স চালু করায় গরীব ও মেধাবী শিক্ষাদের আর শহরে ছুটতে হচ্ছেনা। তারা বাড়িতে বসেই উচ্চশিক্ষা গ্রহন করছেন। এ উপজেলায় এখন শিক্ষার্থী ভর্তির হার ১০০% হয়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কমে এসেছে। ১১২টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে।

জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য আসছে এখন এ উপজেলায়। এমপির নিজস্ব খরচে সালেহা ইমারত গার্লস একাডেমি নামে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে এ উপজেলায়। এখানে এলাকার গরীব শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে।

আইনৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর শিক্ষা নয়, উন্নয়ন হয়েছে বিদ্যুতেও। বাগমারায় বিদ্যুতের আলোয় ঘুচিয়েছে সব অন্ধকার। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এখন বিদ্যুৎ জ্বলে। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ একটি বড় সাফল্য। আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরে এ সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে উপজেলায়। এখন দুর্গম এলাকায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। অথচ ১০ বছর আগে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল স্বপ্নের মতো।
এখন এ উপজেলায় বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫৯৯ জন। সাংসদ এনামুল হকের প্রচেষ্টায় উপজেলার ৫০ হাজার ২৭টি পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সব মিলিয়ে উপজেলার প্রায় তিন লাখ লোক বিদ্যুতের সুবিধা সরাসরি ভোগ করছেন।

এলাকাবাসীর বিদ্যুৎ চাহিদা নিশ্চিত করতে ভবানীগঞ্জ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ১০ এমভি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বাগমারায় গত ১০ বছরে উপজেলা জুড়ে ১ হাজার ৫৮৬ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে ৭৯ হাজার ৯৩৬ পরিবার। বাগমারায় সব মিলিয়ে ৯১ ভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এখন যেসব বাড়ি বিদ্যুৎ সুবিধার থেকে বঞ্চিত তাদেরকে দ্রুত গতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করতে চালু করা হয়েছে স্পট মিটারিং। সকল গ্রাহকরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৪৬টি স্থানে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব এলাকা এক সময় ঘোর অন্ধকার থাকলেও এখন সর্বত্র আলোকিত। রাতের বেলা কেউ সেখানে প্রবেশ করলে সহজেই শহরের দৃশ্য অনুভুত হবেন।

শুধু তাই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে মানুষের জীবন যাত্রার মানও বেড়েছে। কমেছে দুর্ভোগ। উপজেলার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।

গ্রামের মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন অত্যাধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় যুগান্তকারী সাফল্য এখন এ উপজেলার মানুষ ভোগ করছেন। বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ১৬ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ইওসি ভূক্ত হওয়ায় এখানে স্বাভাবিক ডেলিভারির পাশাপাশি সিজারিয়ান সেকশন চালু আছে। হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগ, অন্তঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও হৃদরোগের আক্রান্ত রোগীদের কথা বিবেচনা করে দুটি ইসিজি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। বাগমারায় মোট ৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এছাড়া হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকায় ২০ শয্যার আরো নতুন একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বর্তমান সরকারের ১২ বছরে বাগমারায় কৃষি খাতে যুগান্তকারী সফলতা এসেছে। উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর সভার কৃষিকে কৃষকদের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে চালু করা হয়েছে নানা পরামর্শ ও সেবা প্রদান কেন্দ্র। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে উপজেলা জুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে সব্জির চাষ। কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে এখন অনেকটাই পরিচিতি লাভ করেছে বাগমারা।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গৌরবময় ইতিহাসসহ বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজশাহীর বাগমারায় নির্মাণ করা হয়েছে দেশের প্রথম ডিজিটাল ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর কমপ্লে¬ক্স।’ মূলত নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

এছাড়াও বাগমারা উপজেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সার্বিক উন্নয়ন এবং বিভিন্ন এলাকার তথ্য অল্প সময়ের মধ্যে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে এই কমপে¬ক্সটির কার্যক্রমের মাধ্যমে। আর এ জন্যই ছয়তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর কমপে¬ক্সটি তৈরি করা হয়েছে।
টানা তিনবারের নির্বাচিত স্থানীয় এমপি এমপি এনামুল হক বলেন, বাগমারা এখন আর গ্রাম নেই। সর্বত্র শহরের ছোয়া ও সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে উপজেলাকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন করা হবে। তিনি বলেন, গ্রামীণ জনপদে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে দিয়ে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক একটি মডেল উপজেলা তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, বাগমারা হবে বাংলাদেশের মধ্যে আধুনিক এবং ডিজিটাল মডেল উপজেলা। এখানকার মানুষ গ্রামে বসেই অনায়সে পাবেন শহরের সব সুবিধা।

আরবিসি/১৩ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category