• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

বেড়েছে তেল-ডিম-মুরগির দাম, কমেছে আলুর

Reporter Name / ৩০৮ Time View
Update : শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে তেল,ডিম, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। তবে কমেছে আলুর দাম। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, গরু ও খাসির মাংসসহ অন্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১ নম্বর বাজার, ২ নম্বর বাজার, ৬ নম্বর বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কলোনি বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে বাজারের এ চিত্রই দেখা গেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকা, শালগম ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে ৩০ থেকে ৬০ টাকায়, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমরার কেজি ৩০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি, চিচিংগা ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা। কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেলর লিটার ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম ৫ টাকা বেড়ে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি (কক) ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. আমিরুল বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালে মুরগির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। শীত মৌসুমে ফার্মগুলোতে মুরগি মৃত্যুর হারও বেড়ে যায়। এসব কারণে এখন বাজারে মুরগির দাম চড়া যাচ্ছে। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ (দেশি) ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৫০০, রিডা ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজু ইসলাম বলেন, সবজির বাজার কখন কেমন দাম থাকবে কেউ বলতে পারে না। একদিনের ব্যবধানে বাজারে সবজির দাম অনেক ওঠানামা করে। অনেক সময় বাজারে ক্রেতাই থাকে না, তখন কম দামে সবজি বিক্রি করতে হয়। বাজারে কোনো কিছু দাম বেড়ে গেলে সবাই তখন দাম বাড়া নিয়ে কথা বলে। দাম কম থাকলে তা নিয়ে কেউ কিছু বলে না।

আরবিসি/১২ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category