• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

কদর কমেছে কপির, খাচ্ছে গরু ছাগল!

Reporter Name / ৪৬২ Time View
Update : বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : ফুল কপি, বাঁধা কপির কদর এখন কমে গেছে। জমি পরিস্কার করার জন্য কৃষক এখন এই ফুল কপি বাঁধা কপি এনে খুরচা ও পাইকারি বিক্রেতাদের দিয়ে যাচ্ছেন। তারা এই কপি নিয়ে পড়েছে বিপাকে। দিনের পর দিন এসব বিক্রি না হওয়ায় অবশেষে দোকানীরা এসব সবজি ফেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি গরু ছাগলে খাওয়ার জন্য যে কেউ চাইলে তাকে দিয়ে দিচ্ছেন।

সম্প্রতি উপজেলা ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর হাট ঘুরে ফুল কপি ও বাঁধা কপির এমন চিত্রই দেখা গেছে। অথচ শীতের শুরুতে এই ফুলকপি বাঁধা কপি ৮০ থেকে একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন এসব ঠিকা দরেও বিক্রি করতে হিমসিম খাচ্ছে কৃষক। বুধবার ভবানীগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে বড় বড় সাইজের চারটি ফুলকপি ২০ টাকাতেই বিক্রি করতে পারছে না খুরচা দোকানীরা।
এই বাজারের খরচা দোকানী সাইদুর রহমান জানান, এখন বাজারে প্রায় সব সবজির দাম কমতির দিকে। চারশ’ থেকে পাঁচশ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। অন্যরা জানান, বাজারে এখন শীতকালীন সবজির কদর দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাজারে নতুন করলা ও পটল ওঠা শুরু হয়েছে। তাই এখন ক্রেতারা শীতকালীন সবজি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ফলে এসব সবজি এখন গরু ছাগল ও ক্ষেত্র বিশেষে মাছের খাদ্যে পরিনত হয়েছে।

মাড়িয়ার কৃষক লুৎফর রহমান জানান, তিনি এবার আড়াই বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধা কপির চাষ করেছিলেন। শীতের মাঝামাঝি তিনি এই কপি উত্তোলন করে খরচ বাদে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা লাভ করেছেন। এখন জমি পরিস্কার করার জন্য তিনি এই কপিগুলো তুলে বাজারে দিয়ে আসছেন। কোন কোন ব্যবসায়ী তার কপি নিয়ে কিছু পয়সা দিচ্ছেন কেউ দিচ্ছেন না। এতে তার আপছোচ নেই। কারণ কপিতে তিনি খরচ বাদে ব্যাপক লাভ করেছেন। এখন যা পাচ্ছেন এটা তার উপরি।

মাড়িয়ার আরেক কৃষক আসাদুজ্জামান জানান, তার এলাকায় কপি নিতে আগে বেপারীরা ্ট্রাক নিয়ে আসতো। এখন শহরেও এই সবজির কদর কমে যাওযায় তারাও আসছে না। তিনি জানান, তারা এলাকায় এসব সবজি(ফুল কপি বাঁধা কপি) এখন গরু ছাগল ও মাছের খাদ্যে পরিনত হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, আরো কিছুদিন এসব সবজি(ফুল কপি বাঁধা কপি) জমিতে রাখলে কৃষক কিছুটা দাম পেত। তবে ওই সব জমিতে তারা ইরি বোরো আবাদের জন্য জমি পরিস্কার শুরু করায় দ্রুত এবং একসাথে সবজিগুলো বাজারে বিক্রি করছে। আর এই সবজি গুলো সংরক্ষনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে চাহিদার তুলনায় যোগান বেড়ে যাওযায় সবজির দরপতন ঘটেছে।

আরবিসি/১০ ফেব্রুয়ারি/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category