আরবিসি ডেস্ক : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১-তে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান কল্লোল (২৫) নামের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন সিপাই রয়েছেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের ইছাহাক মণ্ডলের ছেলে। তিনি যশোর থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
নিহত অন্যরা হলেন-কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের রণজিত দাসের ছেলে সনাতন দাশ (২৫), শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মৃত মহরম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আজিজ (৭৫), ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুন্ডুু গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইউনুস আলী (৩২), কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিন্দিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হারুনর রশিদ সোহাগ (২৪), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রেশমা (২৬), আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের জান্নাতুল বিশ্বাসের ছেলে ওয়ালিউল আলম শুভ (২৫) এবং গাড়িচালক উজ্জ্বল হোসেন। তার বাড়ি মাগুরায় বলে জানা গেছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাকি চারজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারোবাজার এলাকায় আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের পাশে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন কমপক্ষে ৩৫ জন।
দুর্ঘটনায় আহতদের যশোর ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সবার মরদেহ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে রাখা হয়েছে। যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মিন্টু নামের এক কৃষক জানান, বিকেল ৩টার দিকে জে কে পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে যশোর থেকে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছলে রাস্তার ওপর থাকা যাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করে। এতে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর আড়াআড়ি হয়ে উল্টে পড়ে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের ধাক্কায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন মারা যান। বাকিরা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
আরবিসি/১০ ফেব্রুয়ারি/ রোজি