স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী অঞ্চলে প্রতিবছর ২৮২ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। উত্তরেরর জেলাগুলোর মধ্যে এ ঘটনার প্রবনতা সবচেয়ে বেশী সিরাজগঞ্জে। এখানে গেল বছরে মারা গেছে ৪৭০ শিশু। এছাড়া পাবনায় ৪০০ জন রয়েছে। আর সারাবিশে^ প্রতিবছর তিন লাখ ২০ হাজার শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে।
মঙ্গলবার রাজশাহী থেকে এক অনলাইন সেমিনারে এ তথা জানানো হয়। গণস্বাক্ষরতা অভিযান এবং স্ব-উন্নয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্ব-উন্নয়ন সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান খান ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মুস্তাফিজুর রহমান।
মূল আলোচনা করেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশের ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক ডা. আমিনুর রহমান। বক্তব্য দেন ঘাই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টার রুহুল কুদ্দুস, চাপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন), সাংবাদিক ড. আইনুল হক, রাশেদুল হক রুশো, রাশেদ রিপন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষনা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. মামুন-অর-রশিদ, জয়পুরহাটের জেলা শিক্ষা অফিসার হজরত আলি, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের বায়েকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর মোমিনুল হক, রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক ড. বিশ^জিত ব্যনার্জী, ড. আফরোজা নাজনীন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগয়ি প্রধান অ্যাড. দিল সেতারা চুনি, রাজশাহী ওয়েব সভাপতি আঞ্জুমান আরা পারভীন লিপি, বগুড়ার উন্নয়ন কর্মী জেসমিন আক্তার পান্না এবং রাজশাহী সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ ফিরোজ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এসডিজির চার নম্বর লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রি প্রাইমরি পর্যায়ে সাঁতার শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন বলে মত দেন। এছাড়া শিশুদের সার্বক্ষনিক দেখভালের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি জনবসতি এলাকায় পুকুর বা জলাশয় গুলো বেড়া বা জাল দিয়ে ঘিরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় সেমিনার থেকে।
আরবিসি/০৯ ফেব্রুয়ারি/ রোজি