আরবিসি ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পুরোদমে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি রাজ্যে সরকার গঠনের লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি বিজেপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ একের পর এক সফর করছেন। দলীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়ে গেছেন। গত রবিবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেন। বিজেপির প্রচারের মূল ইস্যু হলো মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা।
নরেন্দ্র মোদিও তাই করলেন। মোদি বলেছেন, তৃণমূলের ১০ বছরের শাসনে বাংলার কোনো উন্নয়ন হয়নিÑ বরং বাম শাসনের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কেন্দ্র থেকে সহায়তা দিলেও রাজ্য সরকারের দুর্নীতিতে ক্ষতিগ্রস্তরা সহায়তা পায় না। তৃণমূল সরকার ত্রাণের অর্থ নিয়েও নয়ছয় করেছে বলে অভিযোগ করেন মোদি। মোদি বলেন, এবার বাংলার মানুষ এক হয়েছেÑ নতুন সরকার গঠন করবে; আর সেই সরকারকে নেতৃত্ব দেবে বিজেপি। আর সেই সভা থেকেই মোদি তৃণমূলকে ‘রাম কার্ড’ দেখানোর ডাক দেন।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান রাজনীতির অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে। বিজেপি নির্ভর করছে ‘শ্রী রামের’ ওপর। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ‘রামের শাসন’ ঠেকাতে চাইছেন। গতকাল সোমবারই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে অংশ নেন মমতা। অধিবেশনের পর অধিবেশনে দাঁড়িয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘আবার আমরাই ফিরছি’। নির্বাচনের আগে এটিই শেষ অধিবেশন। অধিবেশনের পর ফটোসেশনের রেওয়াজ আছে। সেই রীতি শেষ করেই মমতা দৃঢ় কণ্ঠে বলে দিলেন, ‘আই ইউল কাম ব্যাক’ (আবার ফিরে আসছি)।
এদিকে রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায়ই বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বিবাদের খবর আসছে। কয়েক দিন আগে বিজেপি ‘জয় শ্রী রাম’ লেখা মাস্ক পরা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিবাদ হয়। পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কাÑ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে পরিস্থিতি জটিল রূপ নেবে।
নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে পাড়ি জমিয়েছেন। এর মধ্যে তৃণমূলের সাবেক মন্ত্রী, এমএলএ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা রয়েছেন। যদিও তৃণমূল এ নিয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। বরং মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, যারা দল ছেড়ে চলে গেছেন তাদের নিয়ে যেন কোনো কুৎসা রটানো না হয়। এনডিটি, আনন্দবাজার পত্রিকা।
আরবিসি/০৯ ফেব্রুয়ারি/ রোজি