• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন সুবিধা

Reporter Name / ৩২৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন সুবিধা চালু করছে সরকার। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

নীতিমালায় সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং মরদেহবাহী ফ্রিজিং ভ্যান কীভাবে, কত টাকায় এবং কোন প্রক্রিয়ায় ভাড়া হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা শহর ও আশপাশের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০০ টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও ফ্রিজিং ভ্যান সেবা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের জন্য তিন টাকা হারে ভাড়া প্রযোজ্য হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের বিদ্যমান লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যান ও অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় যানবাহনগুলোর যথাযথ ব্যবহারের জন্য একটি নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিবেচনায় এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যবহারকারী হিসেবে যোগ্য ব্যক্তির স্ত্রী/স্বামী, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, ছেলে-মেয়ে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাই, অবিবাহিত/তালাকপ্রাপ্ত/বিধবা বোন, পিতামহ-পিতামহী এবং ছেলের বিধবা স্ত্রী ও শিশুসন্তান ব্যবহার করতে পারবেন।

যারা পাচ্ছেন এ সুবিধা: ফ্রিজিং ভ্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সব কর্মচারী ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য হবেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন।

অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার সব কর্মচারী, অন্যান্য মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগের নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মচারীরা ব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য হবেন। ব্যবহারকারীর পরিবারের সদস্যরা এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন।

ফ্রিজিং ভ্যান কিংবা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারী অথবা তার পরিবারের যেকোনো সদস্য নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে পারবেন। সার্বক্ষণিক সেবা দিতে পরিবহন কমিশনার হট লাইন নম্বর চালু এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। পরিবহন কমিশনার এ সেবা দিতে উপযুক্ত কর্মচারীকে দায়িত্ব দেবেন।

আবেদনকারীর সংখ্যা একই সময় একাধিক হলে অগ্রাধিকার বিষয়ে পরিবহন কমিশনারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে।

আওতাভুক্ত এলাকা: নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলে ফ্রিজিং ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা যাবে। মরদেহ বা অসুস্থ ব্যক্তি পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ফ্রিজিং ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা যাবে না। যেসব অঞ্চলের রাস্তায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগিতার কারণে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেখানে সাধারণভাবে যাতায়াতে করা যাবে না। অনুমোদিত চলাচলের ক্ষেত্রে যানবাহনের কোনো ক্ষতি হলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবেন।

ব্যয়ভার: ফ্রিজিং ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে বুঝে নেয়ার পর সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে ফেরত আসা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় জ্বালানি ব্যয় আবেদনকারীকে বহন করতে হবে। যাতায়াত পথে ফেরি পারাপার বা সেতু ব্যবহারের প্রয়োজনে ফেরি ও সেতুর টোল ব্যবহারকারী পরিশোধ করবেন।

ব্যবহারের পর গাড়িতে সংযোজিত ভেহিকেল ট্র্যাকারের অতিক্রান্ত দূরত্ব অনুযায়ী প্রকৃত দূরত্ব হিসেবে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোডে তিন দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে হবে। চালানের মূল কপি সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে জমা দিয়ে না-দাবিপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রাপ্ত আয় নন-ট্যাক্স রেভিনিউ হিসেবে গণ্য হবে।

আরবিসি/০৯ ফেব্রুয়ারি/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category