• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শীর্ষ সংবাদ

‘নারীকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’

Reporter Name / ৩৩১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারী উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে নারীদের মর্যাদা দান করে প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।

মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ২০১৯ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরঙ্গণার স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে নির্যাতিতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। সমাজে তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নানা কৌশল ও নীতি প্রণয়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ খ্রিস্টাব্দে জয়িতা সম্মাননা প্রদান প্রথম শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফলে আজ নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে এসেছে। কিছুক্ষেত্রে পুরুষের চেয়েও নারীরা বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বন্ধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান।

এ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট দশ জন নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে চূড়ান্ত ফলাফলে দশ জনের মধ্য থেকে পাঁচ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে পাবনার সুমনা সুলতানা সাথী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, সফল জননী নারী হিসেবে রাজশাহীর আমিনা হক, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমী নারী হিসেবে পাবনার মোছা. রোজিনা খাতুন ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজশাহীর মোসা. সেলিনা বেগম শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন। এর আগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন জয়িতার জীবন সংগ্রামের উপর ধারণকৃত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

আরবিসি/০৯ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category