স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রের চারটি বুথ থেকে দেড় ঘণ্টায় করোনার টিকা নিয়েছেন ১৮৫ জন। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ একটা পর্যন্ত মোট ১৮৫ জন করোনার টিকা নেন। দ্বিতীয় দিনে করোনার টিকা নিতে সাধারণ মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। টিকা নিতে হুইল চেয়ারে করে বয়োবৃদ্ধ নারীও এসেছেন।
ওই নারী জানান, হাঁটতে না পারলেও তো করোনার টিকা নিতে হবে। করোনা তো কাউকেউ ছাড়বে না। তাই হুইল চেয়ারে করেই করোনার ভ্যাকসিন নিতে এসে গেছি।
ভ্যাকসিন নেওয়া রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. পার্থ মণি ভট্রাচার্য জানান, একটু আগেই টিকা নিয়েছি। খুব ভালো লাগছে কোন সমস্যা হয়নি। এই টিকা আমাদের হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা সুন্দর ভাবে আনন্দঘন পরিবেশে নিচ্ছে। টিকা নিয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন তিনি জানান, টিকা নিতে পেরে অনেক ভালো। কোন সমস্যা হচ্ছে না। সকলের টিকা নেওয়া উচিত।
রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেড শাহ মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, একটু আগেই টিকা নিয়েছি। খুব ভালো লাগছে। গতকাল আমাদের পরিচিত অনেকে টিকা নিয়েছে আজও অনেকে টিকা গ্রহণ করবে। এদিকে রাজশাহী নগরীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রাজশাহীতে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজারের অধিক মানুষ। সোমবার সকাল ১০ থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের ৪ টি বুথে মোট ১৮৫ জন টিকা নিয়েছে। এর মধ্যে মহিলা ২ নম্বর বুধে টিকা নিয়েছে ৩১ জন, ৪ নম্বর মহিলা বুধে ৪৮ জন, পুরুষ ৩ নম্বর বুধে ৬২ জন, ১ নম্বর পুরুষ বুথে ৪৩ জন। এবং সাড়ে ১১ পর্যন্ত মোট ১৫০ জন ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন করেছে।
অন্যদিকে গতকাল রোববার সকালে প্রথম টিকা নেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকা নেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, সিভিল সার্জন কাইয়ুম তালুকদারসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ সরকারের বিভিন্নস্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টিকা নিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
আরবিসি/০৮ ফেব্রুয়ারী/ রোজি