• বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে কৃষি ও কৃষক বাঁচানোর দাবি, ডিসি অফিস ঘেরাও

Reporter Name / ৩৪৪ Time View
Update : রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : বন্ধ করে দেয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও চিনিকল চালুসহ অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন রোধ করে কৃষি এবং কৃষকদের বাঁচানোর দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রোববার সকালে জাতীয় কৃষক সমিতির রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় সেখানে তারা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মানববন্ধনও করেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কৃষক সমিতির রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি কয়েস উদ্দীন। বক্তব্য দেন- কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. এন্তাজুল হক বাবু, আব্দুল মতিন, জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফরজ আলী, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল মান্নান, আদিবাসী নেতা রবিন্দ্রনাথ সরেন, জেলা যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, হজরত আলী প্রমুখ।

যুবমৈত্রীর রাজশাহী জেলার সভাপতি মনিরুদ্দীন পান্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব পাট ও চিনিকল বন্ধের মধ্য দিয়ে হাজার-হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা হয়েছে। কর্ম হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা প্রায়। এদিকে কৃষকদের ফসল ফলানো জমি দখল করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। একদিকে রাষ্ট্র শ্রমিকদের কারাখানা বন্ধ করে দিচ্ছে, অপরদিকে সরকারি দলের হাইব্রিডেরা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। কৃষক ও শ্রমিকদের সাথে এই আচরণ কেন? তারা কি দেশের বাইরের কেউ।

রাজশাহীর পবা উপজেলার কর্ণাহার বিলের উদাহরণ দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, দেশের খাদ্য ভান্ডারে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে উত্তরবঙ্গ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন কৃষকের জমি অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন; তখন পবার কর্ণাহার বিলে কৃষকের জমি দখল করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও কৃষকেরা যখন প্রতিবাদ করছেন- তখন ভূমিদস্যুরা উল্টো তাদেরই মারধর ও লাঞ্চিত করছে।

দেশের শ্রমিক ও কৃষকদের বাঁচাতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তারা বলেন, কৃষি ও কৃষকের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ চলতে থাকলে আগামীতে বাংলাদেশকে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে। কৃষকের ফসলি জমি রক্ষা করতে সরকারি পরিকল্পনা ও তদারকির কোন বিকল্প নেই। এসময় কারখানার শ্রমিক ও কৃষকের জমি রক্ষায় সরকার ব্যর্থ হলে চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।

সমাবেশ শেষে কৃষি ও কৃষক বাঁচানোর দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষক নেতা গনেশ মাঝি, আকবর আলী, অ্যাড. মামুনুর রশীদ জন, রুনা লাইলা, ওয়াজেদ আলী মন্টু, সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ প্রমুখ।

আরবিসি/০৭ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category