• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সার সঙ্কটে রাজশাহীতে ব্যাহত হচ্ছে আলুচাষ, দামও অতিরিক্ত রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ, দুই পক্ষের মীমাংসা স্থগিত কিডনি রোগীর চিকিৎসা আর আইফোন কিনতে ডাকাতির চেষ্টা: পুলিশ তনুর গ্রাফিতিতে পোস্টার সাঁটানো নিয়ে যা বললেন মেহজাবীন স্বৈরাচারের পতন হলেও এখনো গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠিত হয়নি: নজরুল টিউলিপের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি পাউন্ড ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে ভোটের মাঠ!

Reporter Name / ৩১০ Time View
Update : রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ইয়াবার প্রবেশদ্বার যেমন টেকনাফ, তেমনি হেরোইনের আন্তর্জাতিক রুট হচ্ছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী। দীর্ঘ তিন দশকে গোদাগাড়ী ও সংলগ্ন এলাকায় চরাঞ্চলে হেরোইনের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে শত শত মাদক ব্যবসায়ী।

সীমান্ত পথে হেরোইন এনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জোগান দিয়ে আসছে গোদাগাড়ীর মাদকসম্রাটরা। তারাই এখন গোদাগাড়ীর সব কিছুর নিয়ন্ত্রক।

এসব মাদকসম্রাটের টাকার ছড়াছড়ি ও দাপটের আঁচ পড়েছে চলমান গোদাগাড়ী পৌর নির্বাচনে। এসব মাদক ব্যবসায়ীর অনেকেই পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। তারা প্রভাব খাটাচ্ছে ভোটারদের ওপর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মনিরুল ইসলাম মনি। কাউন্সিলর প্রার্থী মনি একজন মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা করে মনির পরিবার গোদাগাড়ীর অন্যতম সম্পদশালী পরিবারে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনির সমর্থনে টাকার ব্যাগ নিয়ে তাকে জেতাতে মাঠে নেমেছে মাদারপুরের দুই মাদকসম্রাট আহম্মদ ও ইসাহাক আলী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মহিষালবাড়ীর নিজ বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ হেরোইন ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে কয়েক মাস জেলে থেকে সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে মোফাজ্জল হোসেন মোফা ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।

গত বছর ২১ আগস্ট দেড় কোটি হেরোইনসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন মোফা। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে মোফা কাউন্সিলর পদে ভোট করছেন। তার নির্বাচনে কাজ করছে মাদক ব্যবসায়ীদের আরেকটি দল।

মোফার প্রতিদ্বন্দ্বী কাজলের পরিবারও মাদক কারবারে জড়িত বলে জানা গেছে।

এদিকে নারী কাউন্সিলর মাদারপুর রেলবাজার এলাকা থেকে ভোটে নেমেছে মাদক ব্যবসায়ী আমেনা বেগম মুক্তি। মুক্তির পক্ষে ভোট প্রচারে নেমেছে মাদককারবারিরা। ফাতেমা বেগম ফুরকনও খুচরা মাদককারবারি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ীতে পৌর মেয়র পদের বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষেও মাদককারবারিরা দেদারসে টাকা খরচ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যাতে আগামীতে ঝুটঝামেলা হলে তাদের সাহায্য পাওয়া যায়।

যদিও আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী অয়েজুদ্দিন বিশ্বাসের দাবি, দলের নেতাকর্মীরাই তার ভোট করছে। কোনো চিহ্নিত মাদককারবারি তার সঙ্গে নেই। বরং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য মেয়রপ্রার্থীদের কারও কারও সঙ্গে মাদকসম্রাটরা থাকছে ভোট করছে। টাকা খরচ করছে। (সূত্র : যুগান্তর)

আরবিসি/০৭ ফেব্রুয়ারি/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category