আরবিসি ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে গতকাল শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারী) জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে শেষ সেশনটি হঠাৎ করেই রং বদলে দেয়। সফরকারী ক্যারিবীয়রা তাদের শেষ ৫ উইকেট হারায় মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে ২২ বলের মধ্যে। ২৫৩ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর ২৫৯ রানে অলআউট। ১৭১ রানে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধাকে অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে ১ রানের মধ্যে হারায় তামিম ও নাজমুলকে। ৩৩ রানে ফিরে যান সাদমান। ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম।
আজ শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দিন শুরু করে হাতে ৭ উইকেট ও স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান নিয়ে। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হকের শতক ও লিটন দাসের অর্ধশতকের ওপর ভর করে ৮ উইকেটে ২২৩ রান করে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানে এগিয়ে থাকায় টাইগারদের লিড হয় ৩৯৪ রান। যার ফলে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ৩৯৫ রান
ব্যক্তিগত ১০ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা মুশফিক বেশিদূর যেতে পারেননি। মাত্র ৮ রান না যোগ হতেই রাকিম কর্নওয়ালের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দলের রান তখন ৭৩। মুশফিক রিভিউ নিয়েছিলেন কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ১৮ রান।
মুশফিকের বিদায়ের পর বড় জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও লিটন দাস। এই জুটি থেকে আসে ১২৯ রান। দলীয় ২০৬ রানে ওয়ারিক্যানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কাইল মায়ার্সের হাতে ধরা পড়েনি লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১২ বলে ৬৯ রান। তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫টি চারের মারে।
লিটনের পরের ওভারেই সাজঘরে মুমিনুল হক। সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে কেমার রোচের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে অবশ্য দলের ভিত্তি গড়ে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮২ বলে ১১৫ রান। দলের রান তখন ২১৫। এরপর দ্রুতই মেহেদি হাসান মিরাজ (৭) ও তাইজুল ইসলাম (৩) বিদায় নিলে ২২৩ ড়াণে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
আরবিসি/০৬ ফেব্রুয়ারী/ রোজি