স্টাফ রিপোর্টার : বসন্ত আসতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে শীতকালে ঝরে পড়া পাতার ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে গাছে গাছে গজাবে নতুন পাতা। পাতার ফাঁকে বসে কু-হু-কু-হু গান ধরবে কোকিল। ফুলে ফুলে ভরে যাবে গাছগাছালি। ফুটবে লাল টুকটুকে পলাশ। প্রকৃতি সাজবে বাসন্তী সাজে।
প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বসন্তকে ঘিরে দেশের নানা পেশাজীবী মানুষ মেতে উঠেন বসন্তবরণ উৎসবে। তবে এবারের এই উৎসবে হানা দিয়েছে মহামারী করোনাভাইরাস।
এবছর বাসন্তী সাজে সাজছে না বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। চারুশিক্ষার্থীদের সুনিপুণ হাতের রঙ-তুলির ছোয়ায় রাঙাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গনগুলো। প্রতিবছর বসন্তকে ঘিরে দুই দিনব্যাপী ‘বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব’র আয়োজন করে থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চারুকলা অনুষদ। এবছর ঋতুরাজ বসন্তকে সরাসরি স্বাগত না জানালেও অনলাইনে বসন্তবরণের আয়োজন করবেন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী জনি মাহমুদ জানান, পহেলা বৈশাখের ন্যায় অনলাইনে বসন্তবরণ করবেন তারা। ইতোমধ্যে বসন্তকে ঘিরে নানান প্রস্তুতিও নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এদিন অনলাইনে শিল্প প্রদর্শনীর জন্য চারুশিক্ষার্থীদের কাছে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে শিল্পকর্মও চেয়েছেন তারা। এছাড়াও অনুষ্ঠান সূচিতে থাকবে নাচ, গান, আবৃতিসহ নানা আয়োজন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটি চারুকলা অনুষদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘রেডিও চারু’ তে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য মানুষ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাসায় তৈরি করা ভিডিও কন্টেন্ট প্রদর্শিত হবে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার বলেন, উৎসবটি স্বার্থক করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় শিক্ষার্থীরা। তারাই তো নেই ক্যাম্পাসে। এছাড়া জাতীয়ভাবেও এবারে উৎসবটি উদযাপন করা হবে না। এরপরেও খুবই ছোট পরিসরে বসন্তবরণ উৎসব করা যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা ভেবে দেখবো। শিক্ষার্থীরা গত পহেলা বৈশাখটি অনলাইনে উদযাপন করেছিল। এবারে বসন্তবরণ অনলাইনে উদযাপন করবেন কিনা সে বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।
আরবিসি/০৫ ফেব্রুয়ারী/ রোজি