আরবিসি ডেস্ক : দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিশাল আকারের হলুদ গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কাছে গেলে চোখে পড়ে হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুল। ফুলগুলো বাতাসে দোল খেয়ে যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য উপভোগ করার। তাই দিনভর সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছে হাজারো মানুষ। কেউ ছবি তুলছে, কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে বাগানে এসে সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পিকনিকের কাজটিও সারছেন।
সূর্যমুখী ফুলের মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্যটি দেখা মেলে ফরিদপুরের গঙ্গাবর্দী এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) খামারে। এ খামারের বিশাল এলাকাজুড়ে রোপন করা হয়েছে কয়েক হাজার সূর্যমুখী ফুলের বীজ। বর্তমানে বীজ থেকে প্রতিটি গাছে ফুল ফুটেছে। যা দেখতে দুর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসছেন এখানে। দুপুরের পর থেকেই সূর্যমুখী বাগানে নানা বয়সী মানুসের মিলন মেলায় পরিণত হয়। সূর্যমুখী ফুলের এ বাগানটি এখন সৌন্দর্যপ্রেমীদের একমাত্র দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে হাজারো মানুষের ভিড়ে বাগানটির রক্ষনাবেক্ষন করতে গিয়ে হিমশীম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। বাগানের কিছুটা ক্ষতি হলেও সৌন্দর্যপ্রেমীদের কথা চিন্তা করে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আগতদের তেমন কিছুই বলছেন না। তবে অনেকেই ফুল ছিড়ে ফেলার কারণে তারা অসন্তুষ্ট।
বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, বিগত কয়েক বছর আগে তারা পরীক্ষামূলক ভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ শুরু করে। গত তিন বছর ধরে বিশাল এলাকাজুড়ে সূর্যমুখীর বাগান করা হচ্ছে। সূর্যমুখীর তেলকে জনপ্রিয় করতেই এ উদ্যোগ তাদের। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন আগ্রহী চাষীরা। পরামর্শ ও বীজ নিয়ে অনেকেই এখন সূর্যমুখীর আবাদ শুরু করেছেন। দিনকে দিন ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে চাষীরা ব্যক্তি উদ্যোগে সূর্যমুখীর আবাদ শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র ফরিদপুরের উপ পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান স্বপন জানান, সূর্যমুখী বীজ একটি লাভজনক শস্য। তাছাড়া সূর্যমুখী তেলের নানাবিধ স্বাস্থ্যগত গুনাগুন রয়েছে। সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ জনপ্রিয় করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। চাষীদের প্রশিক্ষণ, বীজসহ নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, ফরিদপুরের বিএডিসি’র বাগানে ৪ একর জমিতে এবার সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৪০ মন বীজ উৎপন্ন হবে। এসব বীজ বিএডিসির মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
আরবিসি/০৪ ফেব্রুয়ারী/ রোজি