স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন-পাট ও চিনিকল এদেশের ঐতিহ্য ও জনগণের সম্পদ। অথচ এই সম্পদকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। তবে দেশের মেহনতি মানুষ ও শ্রমিক শ্রেণি কখনোই এই সম্পদ ধ্বংস হতে দেবে না। আর এমন কোনো সিদ্ধান্ত মেনেও নেবে না। তাই সময়ক্ষেপণ না করে অসহায় শ্রমিক ও আখচাষিদের জীবন-জীবিকা বাঁচাতে চিনিকলগুলো আধুনিকায়ন ও বহুমুখী করে ফের চালু করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাটোরের ফ্রেন্ডস ক্লাবে রাষ্ট্রায়ত্ব চিনিকল বন্ধ না করে আধুনিকায়ন ও বহুমুখী করতে বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এই দাবি জানান।
সভায় ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, দেশের সম্পদ রক্ষার এই দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও কর্মসূচি। মূলত সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই দেশের বিভিন্ন চিনিকলের শ্রমিক ও আখচাষিদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দেশে চিনিকল আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে।
এ সময় শ্রমিকদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত হওয়ারও আহ্বান জানান- রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
সভায় বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামরুল আহসান, আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদেও সদস্য অধ্যাপক সুকুমার সরকার, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল করিম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় ৯ দফা দাবিতে আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও যেসব জেলায় চিনিকল আছে সেসব জেলায় স্থানীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিল্পমন্ত্রী বরাবর ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করারও সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরবিসি/০৪ ফেব্রুয়ারি/ রোজি